দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জানুয়ারি: গত চব্বিশ ঘণ্টায় পশ্চিম মেদিনীপুরে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ২০১ জন। মৃত্যু’র খবর নেই। তবে, বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা। শালবনী করোনা হাসপাতালে এদিন ৩ জন করোনা সংক্রমিত মৃদু উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও, আগের দিন থেকেই মেদিনীপুর, ঘাটাল, খড়্গপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন ২৫ জন। এদিন, আরও ৪ জন ভর্তি হয়েছেন। সবমিলিয়ে শনিবার রাত অবধি জেলার হাসপাতালগুলিতে মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩২। বেশিরভাগজনেরই উপসর্গ জ্বর, সর্দি, মাথাব্যথা। কিছু জনের কাশি’র উপসর্গও রয়েছে। এদিকে, জেলার মধ্যে সংক্রমনের শিক্ষা আছে মেদিনীপুর শহর ও খড়্গপুর শহর। গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৮৫ জন সহ মেদিনীপুর শহর ও শহরতলীতে তিন দিনে মোট সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ২২৫ জন। খড়্গপুর শহরে গত চারদিনে সংক্রমিত প্রায় ৩০০ বা আরও বেশি। গত চব্বিশ ঘণ্টায় খড়্গপুরে রেল সূত্রে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন, আইআইটি সূত্রে পজিটিভ দেখা যাচ্ছে ৫ জন এবং শহর এলাকায় আরও ১৫ জন ও গ্রামে ৫ জন। এছাড়াও, গত চব্বিশ ঘণ্টায় ঘাটাল মহকুমায় প্রায় ৩০ জন ছাড়া, ডেবরা, সবং, কেশিয়াড়ি, দাঁতন, বেলদা, গড়বেতা ও শালবনীতে গড়ে ৫-৬ জন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্টে প্রকাশিত।
এই পরিস্থিতিতে, শনিবার মেদিনীপুর শহরের কোভিড আক্রান্ত মানুষদের পরিষেবা দিতে তৃণমূল সমর্থিত মেদিনীপুর টোটো ইউনিয়নের উদ্যোগে এবং মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জুন মালিয়ার প্রচেষ্টায় বিনামূল্যে টোটো পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এদিন এই টোটো পরিষেবার উদ্বোধন করেন মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপারসন সৌমেন খান। উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন কাউন্সিলর অনিমা সাহা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। ইউনিয়নের সভাপতি বুদ্ধদেব মহাপাত্র জানান, “মূলত কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, পরীক্ষা নিরীক্ষার করতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঁচটি টোটো ২৪ ঘন্টা প্রস্তুত থাকবে। পরিষেবা নিতে পাঁচটি মোবাইল নং দেওয়া হয়েছে যোগাযোগের জন্য।”