দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, শিলিগুড়ি, ১৩ জুন : মহারাষ্ট্রের নাসিকের পর এবার পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শরীর যেন চুম্বক! ‘ম্যাগনেট ম্যান’ এর খোঁজ পাওয়া গেল এ রাজ্যেই। শিলিগুড়ির ফুলেশ্বরী মোড়ের ভক্তিনগরের বাসিন্দা, বছর ৬০ এর নেপাল চক্রবর্তীর শরীর এখন কার্যত চুম্বকে পরিণত হয়েছে। ১ ফুট দূর থেকে ছুঁড়ে দিলেও, আটকে যাচ্ছে চামচ, হাতা, খুন্তি, পয়সা, মোবাইল থেকে শুরু করে যে কোনও ধাতব দ্রব্য। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য শিলিগুড়ি জুড়ে। যদিও এই ঘটনার সাথে ভ্যাকসিন নেওয়ার বা করোনা টিকা নেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, মহারাষ্ট্রের নাসিকেও ঘটেছে একই ঘটনা। আতঙ্কে আছেন নেপাল বাবুও। তাই, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ তড়িঘড়ি তাঁকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিলিগুড়ির নেপাল চক্রবর্তী করোনা ভ্যাকসিন (কোভিশিল্ড) নিয়েছেন গত ৭ তারিখ। শরীরে কোনো রকম অসুবিধা দেখা দেয়নি। তবে ২ দিন আগে তিনি টিভির খবরে দেখেন যে, করোনা টিকা (কোভিশিল্ড) নেওয়ার পর মহারাষ্ট্রের নাসিকের প্রৌঢ় অরবিন্দ সোনারের শরীরে চৌম্বকীয় শক্তি তৈরি হয়েছে। শরীরে আটকে যাচ্ছে হাতা-খুন্তি-পয়সা! তারপরই, শিলিগুড়ির নেপাল চক্রবর্তীর মনেও প্রশ্ন এবং উৎসাহ জাগে। তিনিও পরীক্ষা করে দেখেন, তাঁর শরীরেও আটকে যাচ্ছে পয়সা-হাতা-খুন্তি সহ ধাতব জিনিসপত্র। এরপরই ভিড় জমে যায় তাঁর বাড়িতে। আসে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম গুলিও। তার জেরেই খবর পৌঁছে যায় কলকাতার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে। তাঁরা স্পষ্ট জানান, “ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি! তাই বিষয়টি পুরোপুরি তদন্ত সাপেক্ষ। এখনই মন্তব্য করা উচিত নয়। অন্য কোন শারীরিক অসুস্থতার জন্যও হতে পারে!” যদিও, নেপালবাবু জানিয়েছেন তাঁর শরীরে অন্য কোন অসুবিধা নেই। তা সত্ত্বেও, নেপাল বাবুকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও, এই বিষয়ে রহস্য উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।