thebengalpost.net
সমস্যা জলেই:

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ মার্চ: মেদিনীপুর শহরের সুকান্তপল্লী সহ শহরজুড়ে প্রায় ৪০-৫০ জন জন্ডিস আক্রান্ত! এর মধ্যে শুধু ২২নং ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লীতেই ২৪ জন আক্রান্তের (হেপাটাইটিস-এ) খোঁজ মিলেছে গত কয়েকদিনে। আরও ১০-১৫ জনের মধ্যে পাওয়া গেছে জন্ডিসের উপসর্গ। তবে, তাদের রিপোর্ট বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আসেনি। বৃহস্পতিবার সকালেই এনিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মেদিনীপুর পৌরসভা। ২২নং ওয়ার্ড ছাড়াও, ২০নং, ২১ নং ওয়ার্ড সহ শহরজুড়েই নজরদারি শুরু করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। সরকারি ও বেসরকারি হিসেবে মিলিয়ে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ বলে জানা গেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি সূত্রে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে পানীয় জল থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আমরা ওই তিনটি ওয়ার্ড ছাড়াও শহরের প্রতিটি বাড়ি থেকেই পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করছি এবং জন্ডিসের উপসর্গ আছে কিনা খতিয়ে দেখছি।”

thebengalpost.net
সুকান্তপল্লীতে স্বাস্থ্য দপ্তরের দল:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

অন্যদিকে, ২২নং ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লী এলাকার মানুষজন ক্ষোভ দেখিয়েছেন কাউন্সিলর ও পৌরসভার বিরুদ্ধে। পৌরসভায় বৈঠক করার পর বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লী এলাকায় পৌঁছন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী, মহকুমাশাসক মধুমিতা মুখোপাধ্যায়, পৌরপ্রধান সৌমেন খান প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন এলাকার কাউন্সিলর মৌসুমী হাজরাও। ইতিমধ্যেই ওই ওয়ার্ডের (২২নং) একটি সাবমারসিবল পাম্প থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি পানীয় জলের ট্যাপ সিল করা হয়েছে। সমস্ত ট্যাপ ও সাবমার্সিবল পাম্প থেকে পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে টেস্টিংয়ের জন্য। ইতিমধ্যেই সুকান্তপল্লীতে জলের ট্যাঙ্ক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পৌরসভার তরফে। বাড়িতে বাড়িতে ওষুধ, ওআরএসএল এবং জিওলিন দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমী হাজরা। গোটা ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবারই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী, মেদিনীপুরের মহকুমাশাসক মধুমিতা মুখার্জী, পৌরপ্রধান সৌমেন খান সহ জনস্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। গোটা ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো আতঙ্কের ছায়া। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, “আতঙ্কের কিছু নেই। সচেতন থাকুন। স্বাস্থ্য দপ্তর ও জেলা প্রশাসন পাশে আছে।”

thebengalpost.net
পানীয় জলেই সমস্যা: