দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ মার্চ:যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচি বা যক্ষ্মা মুক্তি প্রকল্পে (National TB Eradication Program) স্বর্ণপদক (Gold Medal) পাচ্ছে সারা দেশের মাত্র ৮-টি জেলা। গর্বের সেই তালিকায় ঠাঁয় পেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। জেলার দু’টি স্বাস্থ্য জেলা, যথাক্রমে- পূর্ব মেদিনীপুর ও নন্দীগ্রাম পাচ্ছে এই স্বর্ণপদক। সঙ্গে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার। অন্যদিকে, নদীয়া জেলা পাচ্ছে ব্রোঞ্জ পদক। সঙ্গে ২ লক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে গত ২১ মার্চ এই খবর জানানো হয়েছে। রাজ্যের এই দুই জেলাকে অভিবাদন জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)’র অধিকর্তারাও। প্রশংসনীয় হারে টিবি (Tuberculosis) বা যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা কমিয়ে সারা দেশের মোট ৮-টি জেলা গোল্ড মেডেল জিতে নিয়েছে। এছাড়াও, সারা দেশের মোট ২৭-টি জেলা পেয়েছে সিলভার মেডেল বা রৌপ্য পদক। এই তালিকায় রাজ্যের কোনো জেলা নেই। যে ৫৬-টি জেলা জিতে নিয়েছে ব্রোঞ্জ, তাতে এ রাজ্য থেকে আছে একমাত্র নদীয়া। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ), বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের দিন এই জেলা গুলির হাতে পুরস্কার দেওয়া হতে পারে।

thebengalpost.net
নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে স্বাস্থ্য কর্মীরা :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে যক্ষ্মা রোগ নির্মূল করার উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে এই যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচির অগ্রগতি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীন ICMR এর জাতীয় যক্ষ্মা গবেষণা সংস্থা NIRT (National Institute For Research in TB)। হু (WHO- World Health Organization)’র সঙ্গে যৌথভাবে এই বিষয়ে কাজ করছে জাতীয় সংস্থাটি। ২০২১ অবধি যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচিতে ভালো কাজ করে উপরোক্ত জেলাগুলি পুরস্কৃত হচ্ছে। ২০১৫ সালের তুলনায় যেসব জেলায় অন্তত ২০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী কমেছে তারা পাচ্ছে ব্রোঞ্জ; ৪০ শতাংশ কমলে রৌপ্যপদক এবং ৬০ শতাংশের বেশি (৮০ শতাংশের কম) কমলে স্বর্ণপদক। ৮০ শতাংশের বেশি যক্ষ্মা রোগী কমলে, সেই জেলাকে ‘যক্ষ্মা মুক্ত’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং হু। দেওয়া হবে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৬০ শতাংশের বেশি হারে কমেছে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা। চিহ্নিত ১৫-টি গ্রামে সমীক্ষা চালিয়ে জাতীয় দল দেখেছে মাত্র ৫ জন যক্ষ্মা রোগী পাওয়া গেছে। বাকি‌ সমস্ত গ্রাম যক্ষ্মা মুক্ত হয়েছে। তাই, সারা দেশের ৮-টি জেলার মধ্যে এই জেলাও স্বর্ণপদকের জন্য বিবেচিত হয়েছে। প্রতিটি স্বাস্থ্যকর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই সাফল্য।”