দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১০ নভেম্বর: কালীপুজোর পরই হঠাৎ করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর- ১ নং ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলুপাড়া গ্রামে দেখা দেয় ‘আন্ত্রিক’ (পেটখারাপ বা ডায়ারিয়া) এর প্রকোপ। ১৮-২০ জন থেকে বাড়তে বাড়তে বুধবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যাটা ৩০ এ পৌঁছে গেছে। তবে, ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন অনেকেই। দুঃশ্চিন্তা ছিল গতকাল আক্রান্ত হওয়া এক শিশুকে। আজকের খবর অনুযায়ী, সুস্থ আছে শিশুটি। ওই শিশু সহ কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এখনও। কিছুজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ইতিমধ্যে। জেলা ও ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। জেলার জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র এবং মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস মঙ্গলবার গ্রামটিতে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে, দাসপুর ১ নং ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ্ত ঘোড়ই আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে কথা বলেন এলাকার মানুষের সঙ্গে। গ্রামের সজলধারায় জল পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা জানিয়েছেন, “গ্রামের ওই সজলধারার উপর অন্তত দেড়-দু’ হাজার মানুষ নির্ভরশীল। কিন্তু, আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ২০-২৫। জলের জন্য হলে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হত বলে আমাদের প্রাথমিক অনুমান। তবে, সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” অন্যদিকে, জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র জানিয়েছেন, “পরিস্থিতি এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর প্রতিমুহূর্তে নজর রেখেছেন। কি কারণে হয়েছে, তা দেখা হচ্ছে।”
এদিকে, এই মরশুমে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে তা বুধবার পর্যন্ত ৬৮-তে পৌঁছে গেছে। সর্বশেষ আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে খড়্গপুর শহরে। মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শহর ছাড়াও নারায়ণগড়, ডেবরা, ঘাটাল থেকে আক্রান্ত আছে। তবে, এখন পর্যন্ত প্রায় সকলেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর নেই বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা। তিনি জানিয়েছেন, “প্রতিটি ব্লকে ব্লকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি প্রচার চালাচ্ছেন এবং জ্বর হয়েছে কিনা খোঁজ নিচ্ছেন। মশা মারার স্প্রে করা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও মশারি টাঙ্গানো সহ বিভিন্ন সতর্কতামূলক পন্থা অবলম্বনের আবেদন জানাই।”