মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ জানুয়ারি: সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য। প্লাস্টিক সার্জারি (Plastic Surgery)’র মাধ্যমেই তা সম্ভব! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১১ জন কুষ্ঠ (Leprosy) রোগীকে বেছে নেওয়া হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার (১৮ জানুয়ারি) এবং বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) তাঁদের অস্ত্রপচার (Surgery/ Operation) করা হবে শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Salboni SSH)। অস্ত্রপচার করতে আসছেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (R.G. Kar Medical College and Hospital)- এর প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডাঃ আর. ভট্টাচার্য (Dr. R. Bhattacharya)’র নেতৃত্বাধীন ৯ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল।

thebengalpost.net
১১ জন রোগীর অস্ত্রপচার সম্পন্ন হবে শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে:

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “চিকিৎসা পরিভাষায় এই ধরনের অস্ত্রপচারকে বলে Leprosy Reconstructive Surgery। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই এই অস্ত্রপচার করবেন। অস্ত্রপচার হবে শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আজ (মঙ্গলবার) জেলায় পৌঁছে যাবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। দুপুর নাগাদ তাঁরা মেদিনীপুর শহরে পৌঁছে যাবেন।” তিনি এও জানিয়েছেন, “৯ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৫ জনই প্লাস্টিক সার্জারি বা আরসিএস (RCS/ Reconstructive Surgery) বিশেষজ্ঞ। নেতৃত্বে থাকবেন আর.জি.কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান।” আজ শহরের সার্কিট হাউসে তাঁরা থাকবেন বলে জানা গেছে। আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁরা থাকবেন জেলায়। ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি অস্ত্রপচার করবেন এবং ২০ জানুয়ারি রোগীদের অস্ত্রপচার পরবর্তী অবস্থা খতিয়ে দেখে, ২১ জানুয়ারি তাঁরা জেলা ছাড়বেন বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে ১১ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সোমবার তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) তাঁদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য যে, জেলায় মোট কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা ৪৭৯ জন। সম্প্রতি জেলায় একাধিক শিবিরের মাধ্যমে তাঁদের মধ্যে ১৫ জন কুষ্ঠ রোগীকে প্লাস্টিক সার্জারির জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরীক্ষানিরীক্ষা’র পর আপাতত ১১ জনকে অস্ত্রপচারের জন্য উপযুক্ত বিবেচনা করেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। আগামী ৩০ জানুয়ারি ‘বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস’ (World Leprosy Day) এর আগেই এই ১১ জনকে একপ্রকার নতুন জীবন দান করতে চলেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।