দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৬ জুন:শেষ পর্যন্ত গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে। শরীরে জলের অভাব বা ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল। রক্তচাপ নেমে গিয়েছে। ভোরবেলা থেকেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি! আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন শিবিরে ভুয়ো টিকা নেওয়ার ফলেই এই সমস্ত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কিনা তা নিয়ে! কারণ, ওই ক্যাম্পে টিকা নিয়ে আরো অনেকের নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যার মধ্যে কমন বা সাধারণ উপসর্গ হলো- পেটের রোগ ও শারীরিক দুর্বলতা।
উল্লেখ্য যে, ‘ভুয়ো ভ্যাকসিন’ কাণ্ডের ‘নাটের গুরু’ দেবাঞ্জন দেব কসবার ক্যাম্পে কোভিশিল্ডের নাম করে অ্যামিকাসিন (Amikacin) অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। Amikacin-এর ভায়েলের উপর কোভিশিল্ডের স্টিকার লাগিয়ে, সেই ওষুধ সাধারণ মানুষকে টিকা বলে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব। এই অ্যান্টিবায়োটিকের নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও এই ভুয়ো টিকার প্রভাবেই, অভিনেত্রী সাংসদের শরীর খারাপ হয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মিমি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছি। ভোর ৪টে থেকে পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে। ভোর ৬টায় চিকিৎসক আমার বাড়ি আসেন।” তাঁর কথা থেকেই জানা গেল, চিকিৎসক আপাতত তাঁকে সারা দিন বিশ্রাম করতে বলেছেন। ফোন দূরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসক। শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যন্ত বিধ্বস্ত অভিনেত্রী! দুঃশ্চিন্তায় তাঁর অনুরাগীরা। অন্যদিকে, দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।