মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ জুলাই: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (১) হিসেবে করোনা’র সবথেকে বিপজ্জনক দুটি ঢেউ (প্রথম ও দ্বিতীয়) সামলে ছিলেন একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে। তারপর-ই হয়েছিল পদোন্নতি। প্রথমে রাজ্যের সহকারী স্বাস্থ্য আধিকারিক (ADHS) তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক (OSD) হিসেবে এবং তার কয়েকমাস পর নন্দীগ্রাম (পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত) স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) হিসেবে। ঠিক বছরখানেক আগে, ২০২১-এর ২৮ জুন পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বদলি হয়ে নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্তা ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী। ওই একইদিনে বদলি হয়েছিলেন জেলার তৎকালীন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) ডাঃ নিমাই চন্দ্র মন্ডল-ও। তাঁর পরিবর্তে পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হয়ে এসেছিলেন ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা। প্রায় একবছর পরে, আজ (২১ জুলাই) ফের দুই স্বাস্থ্যকর্তারই একসঙ্গে বদলি হল! নন্দীগ্রাম থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) হয়ে আসছেন ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী। অপরদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বদলি হয়ে ঝাড়গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারী হয়ে যাচ্ছেন ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা। ঝাড়গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রকাশ মৃধা যাচ্ছেন নন্দীগ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) হয়ে।
উল্লেখ্য যে, বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রায় ২৬ জন স্বাস্থ্যকর্তার বদলির অর্ডার করা হয়েছে। একাধিক জেলাতেই রদবদল করা হয়েছে। তবে, চতুর্থ ঢেউয়ের চোখরাঙানির মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষেত্রে এই রদবদল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে জেলার ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। দীর্ঘ সময় ধরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (Dy. CMOH) হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন ডাঃ সারেঙ্গী। শুধু একজন কর্তব্যপরায়ণ আধিকারিক হিসেবেই নয়; একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, করোনা (২ টি গান)-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গান রচনা করে এবং নিজের কন্ঠে গেয়ে জেলার সকল স্বাস্থ্যকর্মী ও সাধারণ মানুষকে সাহস জুগিয়েছেন বারবার। শুধু তাই নয়, কোভিড-১৯ ভাইরাস (করোনা অতিমারী) বিভিন্ন এলাকায় কিভাবে প্রভাব ফেলেছে, তার বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষা বা সেরো-সার্ভিল্যান্সেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। স্বভাবতই, সেই স্বাস্থ্যকর্তা জেলায় ফিরে আসার খবরে খুশি পশ্চিম মেদিনীপুর বাসী। ডাঃ সারেঙ্গী ফোনে এদিন জানিয়েছেন, “নির্দেশিকা পেয়েছি। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই দায়িত্ব গ্রহণ করব।” অপরদিকে, ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা-ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দায়িত্বের সঙ্গে নিজের কর্তব্য পালন করছিলেন। তাঁকেও স্বাগত জানিয়েছেন ঝাড়গ্রামের সকল স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। ডাঃ হাঁসদাও জানিয়েছেন, “হ্যাঁ, নির্দেশ পেয়েছি। সে মতোই কাজ করব।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…