মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ জুন : ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেওয়ার পরই, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়নগড় বিধানসভার বেলদাতে একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও সরকারি ডিগ্রি কলেজের অনুমোদন দিয়েছিলেন। ডিগ্রি কলেজের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও, বিভিন্ন কারণে হাসপাতাল তৈরির কাজ অসমাপ্ত থেকে যায়। এবার সেই কাজ পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হলো প্রশাসনের তরফে। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল এই হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন। হাসপাতালের অসমাপ্ত কাজ খতিয়ে দেখে তা চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করার যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হলো। এদিনের পরিদর্শক দলে ছিলেন, স্থানীয় বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জনস্বাস্থ্য ও জেলা পরিষদ) পিনাকী রঞ্জন প্রধান, রাজ্যের সহকারি স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী, বিডিও রেনুকা খাতুন, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ আশিস মণ্ডল প্রমুখ। ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কমিশন লিমিটেডের (WBMSCL) ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার তথা আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে প্রশাসনের আধিকারিকদের বৈঠকে ঠিক হয়, নতুন ঠিকাদার সংস্থা’র মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব (আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে) এই কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।
উল্লেখ্য যে, ২০২০ ‘র ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত কাজ চলার পর, দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা তা ছেড়ে দেয়। এরপর থেকে গত ১ বছর ধরে কাজ বন্ধ ছিলো। বিল্ডিং তৈরি হয়ে গেলেও, বাকি সমস্ত কাজই অসম্পূর্ণ অবস্থায় থেকে যায়। ২০২১ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জরুরী ভিত্তিতে এই কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কমিশন লিমিটেডের আধিকারিকদের এবং জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই মতোই আজ পৌঁছে যান জেলার পরিদর্শক দল এবং WBMSCL এর আধিকারিকরা। ছিলেন নারায়ণগড় বিধানসভার বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট’ও। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে ও আলোচনা করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, চলতি বছরের মধ্যেই সমস্ত কাজ শেষ করা হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক পিনাকী রঞ্জন প্রধান জানান, “আগের ঠিকাদার সংস্থা বিভিন্ন কারণে কাজ অসম্পূর্ণ রেখে দেয়। গত এক বছর ধরে বন্ধ ছিলো এই কাজ। এই বছর ডিসেম্বরের মধ্যে তা সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।” জানা গেছে, দাবিদাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন কারণে আগের এজেন্সি বা সংস্থা গতবছর ৩১ শে মার্চের পর কাজ বন্ধ করে দেয়। রাজ্যের সহকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “WBMSCL নতুন করে টেন্ডার ডেকে অন্য কোনো সংস্থাকে দিয়ে কাজ শুরু করবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে। আশা করছি, অবশিষ্ট কাজ আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।”