দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ জানুয়ারি: রোগী নেই। তবে সরকারের দেওয়া ১০টি বেড বা শয্যা যথারীতি পড়ে আছে। স্বাভাবিকভাবেই তাতে জমেছিল এক ইঞ্চি ধুলোর আস্তরণ! তবে, বিধায়ক আসার অগ্রিম খবর ছিলো বলেই হয়তো বেডশিট, পর্দা আগেভাগেই কাচাকাচি করে রাখা হয়েছিল! হাসপাতালের অবস্থা দেখেই তা বুঝে গিয়েছিলেন ‘দিদির দূত’ হয়ে পরিদর্শনে যাওয়া মেদিনীপুরের ‘সেলিব্রেটি’ বিধায়ক জুন মালিয়াও। তাই তাঁর সরস মন্তব্য ছিল, “এতো পরিষ্কার বেডশিট, আমি তো ভাবতেই পারছিনা!” যদিও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন হাসপাতালের সার্বিক পরিকাঠামো, অব্যবস্থা নিয়ে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি শেষ করেই বিষয়টি তিনি জানিয়েছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী-কে। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল তাই শালবনীর সেই গোদাপিয়াশাল প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পৌঁছে যান CMOH ডাঃ সারেঙ্গী। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন শালবনীর BMOH ডাঃ স্বর্ণালী দে’কেও। ডেকে পাঠিয়েছিলেন হাসপাতালে সদ্য যোগদানকারী তরুণী চিকিৎসক সহ অন্যান্য সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের। পরিদর্শনের পর বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী দু’এক সপ্তাহের মধ্যেই হাসপাতালের পরিকাঠামো এবং পরিষেবার মান আমূল বদলে ফেলা হবে। দেওয়া হবে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা।

thebengalpost.net
বুধবার হাসপাতালে বিধায়ক জুন মালিয়া:

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার মেদিনীপুর বিধানসভার অন্তর্গত শালবনী ব্লকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে গিয়ে, গোদাপিয়াশাল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেছিলেন বিধায়ক। হাসপাতালের পরিষেবা, পরিকাঠামো সহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। বিষয়টি তিনি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের নজরেও এনেছিলেন বলে জানা যায়। এরপরই, বৃহস্পতিবার সকালে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের দিলেন প্রয়োজনীয় নির্দেশ। আগামী এক দুই সপ্তাহের মধ্যেই হাসপাতালে পরিকাঠামো এবং পরিষেবার মান আমূল বদলে ফেলার আশ্বাসও দিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, “গোদাপিয়াশাল প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এমার্জেন্সি পরিষেবা এবং চব্বিশ ঘণ্টার স্বাস্থ্য পরিষেবা সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পুনরায় তা চালু করা হবে। আগে হাসপাতালে ১ জন এম.ও (মেডিক্যাল অফিসার) বা চিকিৎসক (মহিলা চিকিৎসক) ছিলেন। আরও ১ জন তরুণী চিকিৎসক যোগদান করেছেন সম্প্রতি। তাঁদের অবিলম্বে এমার্জেন্সি পরিষেবা চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে আগামী দু’এক সপ্তাহের মধ্যেই। কিছুদিনের মধ্যে চব্বিশ ঘণ্টার (24×7) স্বাস্থ্য পরিষেবাও চালু করা হবে। বিধায়কও তেমনটাই চাইছেন। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।”

thebengalpost.net
বৃহস্পতিবার হাসপাতালে CMOH: