মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ আগস্ট: দীর্ঘ আড়াই পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো বুধবার। মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত জেলাশাসকের কার্যালয়ের পুরানো ভবনের সভাকক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির চেয়ারম্যান তথা জেলাশাসক আয়েশা রানী এ, সম্পাদক তথা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী, অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) পীনাকী রঞ্জন প্রধান, জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র- প্রমুখদের উপস্থিতিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এই বৈঠকে। জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে যে সমস্ত কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বা কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে, সেগুলি দ্রুত শেষ করার বিষয়েই মূলত জোর দেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) ডাঃ সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “জেলার প্রায় ৬০০-টি জায়গায় হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাজ চলছে বা কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে, সেগুলি আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে শেষ করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।” তাঁর মতে, সবমিলিয়ে প্রায় ৪৫০-টি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্র সংস্কার এবং প্রায় ১৫০-টি নতুন ভবন নির্মাণের কাজ এই সময়ের মধ্যে শেষ হবে।

thebengalpost.net
গত ৩ আগস্ট দায়িত্ব নিয়েছেন জেলার নতুন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী:

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহেই জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী। তারপরই তিনি ঘাটাল হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন করেছেন দাঁতন গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। বৃহস্পতিবার শালবনী সুপার স্পেশালিটি এবং তারপর খড়্গপুর মহাকুমা হাসপাতাল, ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে তাঁর। বুধবার তিনি জানিয়েছেন, “আগামী এক মাসের মধ্যে জেলার সমস্ত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করার চেষ্টা করছি।” উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি গড়বেতা হাসপাতালের ছাদ ভেঙে এক শিশু সহ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। বেহাল পরিকাঠামো ঘাটাল ও খড়্গপুর মহকুমার বেশ কিছু প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেরও। সেদিকেও নজর দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বুধবারের বৈঠকে স্কুল হেলথ বা বিদ্যালয় স্বাস্থ্যের উপর-ও জোর দেওয়া হয়েছে। জেলার জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র জানিয়েছেন, “জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিন। পড়ে থাকা সমস্ত কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।” এই মুহূর্তে, জেলার ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।‌ তবে, শিশুদের মধ্যে ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে বলেও তিনি মেনে নিয়েছেন তিনি। তবে, এনিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে, দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ-ও দিয়েছেন তিনি।