তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ অক্টোবর: টানা বৃষ্টিতে ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হতে শুরু করেছে। সোমবার দুপুরের পর ঘাটাল পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের রাস্তাতেও জল উঠতে শুরু করেছে। একই অবস্থা চন্দ্রকোনা ১ ও ২ নম্বর ব্লকেও। এরমধ্যেই সোমবার সকালে জল ছাড়া হয় ডিভিসি’র তরফে। ফলে জলস্তর বেড়েছে শিলাবতী, রূপনারায়ণ ও কেঠিয়া নদীতে। জলে ডুবেছে শিলাবতী নদীর উপর পারাপারের সাঁকো। ডুবেছে নিচু এলাকার রাস্তাঘাট। কৃষিজমিও জলের তলায়। পুজোর আগে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপোনায় চরম দুশ্চিন্তায় ঘাটাল সহ চন্দ্রকোনা ১ ও ২ নং ব্লকের বাসিন্দারা।

thebengalpost.net
জলের তলায় কৃষিজমি :

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে এবং ডিভিসি জল ছাড়ার কারণে, চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষকিরা এলাকায় ডুবেছে শিলাবতী নদীর উপর কাঠের সাঁকো। চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের মনোহরপুর এক ও দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় জলের তলায় ধান ও সবজি জমি। ফলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। চন্দ্রকোনা ও কেশপুর বিধানসভার সঙ্গে যোগাযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিও জলের তলায় রয়েছে। কেশপুর বিধানসভার মধ্যে কুষ্টগিরি, কাঁঠালবেড়িয়া সহ একাধিক এলাকার মানুষজনদের বিভিন্ন কাজের জন্য আসতে হয় চন্দ্রকোনা বিধানসভা এলাকায়।পাশাপাশি ওই একাধিক গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের আসতে হয় পিংলাস উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি জল বাড়তেই জলের তলায় চলে গেছে। এমনকি নিচু এলাকার ধান জমিগুলিও জলের তলায় থাকার কারণে চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। সবমিলিয়ে পুজোর আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে চরম দুশ্চিন্তায় চন্দ্রকোনা সহ জেলার কৃষি প্রধান এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে শিলাবতী নদীর জল বইছে বিপদ সীমার উপরে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে বুধবার-বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে পারে। সবমিলিয়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ঘাটাল মহকুমা জুড়ে। সোমবার দুপুরের পর থেকেই অবশ্য বন্যা মোকাবিলায় সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছে ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। বিকেলের পর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ছাড়াও ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।

thebengalpost.net
বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে জল :