তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ ফেব্রুয়ারি: প্রেম সপ্তাহেই প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়ে ৯০ হাজার টাকা খোয়ালেন পশ্চিম মেদিনীপুর ঘাটাল মহকুমার দাসপুর থানা এলাকার এক যুবক! জানা যায়, ঘাটাল মহকুমারই চন্দ্রকোনা থানার কদমতলা এলাকার যুবক শঙ্খ মন্ডল ‘সুস্মিতা সুস্মিতা’ নামে একটি ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন। আর, সেই ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেই দাসপুরের গোপালপুরের এক যুবককে প্রথমে মেসেজ এবং পরে নম্বর দেওয়া নেওয়া হয়। চন্দ্রকোনার যুবক শঙ্খ মহিলা কন্ঠস্বর নকল করে দাসপুরের ওই যুবকের সাথে ফোনে কথা বার্তা শুরু করেন। বুঝে উঠতে না পেরে দাসপুরের যুবকও প্রেমে গদগদ হয়ে কথাবার্তা চালিয়ে যান। এরপরই, প্রেমে মজে গিয়ে শঙ্খ-কে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে দেন দাসপুরের ওই প্রেমিক যুবক। পরে আসল ঘটনা বুঝতে পারেন দাসপুরের যুবকটি। তারপর, শঙ্খ’কেও পাল্টা মহিলা কন্ঠে ফোন করে বিউটি পার্লারের অর্ডার দেওয়ার নাম করে হাতেনাতে পাকড়াও করে প্রতারিত যুবক ও তার বন্ধুরা। শুক্রবার দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে শঙ্খ মন্ডল নামে ওই প্রতারককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় প্রাথমিকভাবে নিজের অপরাধ স্বীকারও করেছে শঙ্খ। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলায়।

thebengalpost.net
শঙ্খ মন্ডল:

“BDO অফিস থেকে বলছি। আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকবে আপনার অ্যাকাউন্টে।” শনিবার দুপুরে মহিলার কাছে এমনই এক ফোন আসে। চাওয়া হয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং তারপর মোবাইলে যাওয়া ওটিপি নম্বর (OTP No.)। বেশ ওটিপি নম্বর দেওয়ার সাথে সাথেই তিন দফায় ওই মহিলার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় ৫১ হাজার টাকা! এই ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সেই ঘাটাল মহকুমারই ক্ষীরপাই পৌরসভার অন্তর্গত কাশিগঞ্জ এলাকার। কাশিগঞ্জের বাসিন্দা মৌসুমী মণ্ডলের অভিযোগ, শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। তাঁকে ফোনে বলা হয়, আবাস প্রকল্পে আপনার বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে আজ পাঠানো হবে। আপনার ব্যাংক একাউন্ট নম্বর বলুন। অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়ার পরই মোবাইলে একটি ওটিপি আসে। সেটি ওই মহিলার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়। তারপরে তিন দফায় মহিলার একাউন্ট থেকে ৫১ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে, পুরো বিষয়টি নিয়ে ক্ষীরপাই পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৌসুমী। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

thebengalpost.net
মৌসুমী মণ্ডল: