তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ আগস্ট: রবিবার (৬ আগস্ট), ছুটির দিনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার কেঠিয়া খালের ধারে বেড়াতে এসেছিল একদল ছাত্র। এরপর, নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় তাদের মধ্যে একজন। জানা যায়, ঘাটাল থেকে ছয় বন্ধু মিলে চন্দ্রকোনায় বেড়াতে এসে, নদীতে স্নান করতে নামে। এরপর, কেঠিয়া খালের তীব্র জলস্রোতে তলিয়ে যায় ঘাটালের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র রোহিত মোদক। কোনক্রমে বাকি ৫ জন জল থেকে উঠে প্রাণে রক্ষা পায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ। রোহিতের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এরপর, স্থানীয়দের দাবি মেনে ডুবুরি নিয়ে এসেও তল্লাশি চালানো হয়। ঘটনাস্থলে একে একে গিয়ে উপস্থিত হন চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী, ঘাটালের SDPO অগ্নিশ্বর চৌধুরী সহ পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। তবে, শেষ পর্যন্ত রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি চালিয়েও ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে সন্ধ্যা নাগাদ পৌঁছয় এসডিআরএফ (SDRF) টিম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাই স্কুলের ৬ ছাত্র, যথাক্রমে- শুভদীপ মন্ডল (একাদশ); অরিন দে (দ্বাদশ); অনিকেত দাস (একাদশ); অগ্রিম পাত্র (একাদশ); সুব্রত ওঝা (দ্বাদশ) এবং রোহিত মোদক (একাদশ) এদিন বেলা সাড়ে ১২টা-১টা নাগাদ নদীতে স্নান করতে নামে। প্রথম ৫ জন কোনক্রমে নদী থেকে উঠতে পারলেও, জলস্রোতে তলিয়ে যায় বছর ১৭’র রোহিত। তার বাড়ি ঘাটাল পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বলে জানা যায়। এদিকে, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ রাজ্যের উদ্ধারকারী দল বা SDRF পৌঁছলেও রাতের অন্ধকারে উদ্ধারকাজ বা তল্লাশি অভিযান শুরু করেনি। সোমবার ভোর ৫টা থেকেই রোহিতের খোঁজে তাঁরা ভরা নদীতে তল্লাশি অভিযান বা উদ্ধারকাজ শুরু করবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। (আপডেট: সোমবার বেলা ১১টা ৪০ নাগাদ অর্থাৎ প্রায় ২৪ ঘন্টা পর রোহিতের দেহ উদ্ধার হল কেঠিয়া নদী থেকে।)