তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ ডিসেম্বর: ঠাকুমাদের কাছে নাতিরা হয় আদরের ধন। কিন্তু, এমনই এক ‘গুণধর’ নাতির মারে মৃত্যু হল ঠাকুমার! শুক্রবার বিকেল নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার ক্ষীরপাই পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বামুনপুকুর এলাকায়। মৃত ঠাকুমার নাম মালতী দাস (৭৩)। আর, গুনধর নাতির নাম রিন্টু দাস (৩০)। পুলিশ নাতিকে আটক করে নিয়ে যায় থানায়। জানা যায়, ওই বৃদ্ধার চার ছেলে। কিন্তু, ছেলেরা কেউই দেখতো না তাঁকে! উল্টে প্রতিনিয়ত মারধর করতো বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তাই, তিনি একাই একটি চালা ঘরে বসবাস করতেন। এমনকি নিজে কাজ করে পেট চালাতেন। তা সত্ত্বেও নানা কারণে, বৃদ্ধা মালতী দাসের ছেলে ও নাতিরা প্রায়ই তাঁর উপর অত্যাচার চালাতো বলে অভিযোগ। তেমনই এদিন বিকেল নাগাদ মৃত বৃদ্ধার বড় ছেলের ছেলে তথা অভিযুক্ত নাতি রিন্টু দাস তাঁর উপর চড়াও হয় বলে জানা যায়। বেধড়ক মারধর করে বছর ৩০ এর নাতি রিন্টু দাস। তারপরই মৃত্যু হয় ঠাকুমা মালতী দাসের।
ঘটনা জানাজানি হতেই পাড়া-প্রতিবেশীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশে খবর দেন তাঁরাই। তারপর, অভিযুক্ত গুণধর নাতিকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। গুণধর নাতি অবশ্য ক্যামেরার সামনে স্বীকারও করে নেয়, মদ্যপ অবস্থায়, রাগের মাথায় ঠাকুমাকে চড় মারে সে। তবে, এরকম ঘটনা ঘটবে বলে সে বুঝতে পারেনি! খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে, নাতিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।