তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ আগস্ট: অবশেষে প্রায় ২৪ ঘন্টা (২৩ ঘন্টা) পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার কেঠিয়া খালে তলিয়ে যাওয়া একাদশ শ্রেণির ছাত্র রোহিত মোদকের দেহ উদ্ধার করলো পুলিশ সহ উদ্ধারকারী দল। তবে, প্রায় ২৩ ঘণ্টা ধরে উদ্ধার কাজ বা নদীতে তল্লাশি চালানো হলেও, শেষ পর্যন্ত ওই ছাত্রের মৃতদেহ নিজে থেকেই ভেসে ওঠে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। সোমবার বেলা ১১টা ৪০ নাগাদ প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে চন্দ্রকোনা ১নং ব্লকের (ক্ষীরপাই) বেড়াবেড়িয়া এলাকায় কেঠিয়া নদীতে রোহিতের মৃতদেহ ভেসে ওঠে বলে জানা যায়। কেঠিয়া খালের যে স্থানে রোহিত সহ ঘাটাল বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ ছাত্র স্নান করতে নেমেছিল, সেখান থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে বেড়াবেড়িয়াতে দেহ ভেসে উঠতে দেখেন বাসিন্দারা। এরপরই, পুলিশ সহ উদ্ধারকারীদের খবর দেওয়া হলে, তাঁরা দেহ উদ্ধার করে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

thebengalpost.net
উদ্ধারকাজ চলাকালীন:

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার ছুটির দিনে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাই স্কুলের ছয় ছাত্র, যথাক্রমে- শুভদীপ মন্ডল (একাদশ); অরিন দে (দ্বাদশ); অনিকেত দাস (একাদশ); অগ্রিম পাত্র (একাদশ); সুব্রত ওঝা (দ্বাদশ) এবং রোহিত মোদক (একাদশ) নদীতে স্নান করতে নামে। প্রথম পাঁচজন কোনক্রমে নদী থেকে উঠতে পারলেও, কেঠিয়া নদীর তীব্র জলস্রোতে তলিয়ে যায় বছর ১৭’র রোহিত। তার বাড়ি ঘাটাল পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বলে জানা যায়। এরপরই, পুলিশের তরফে ডুবুরি দিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। তাঁরা ব্যর্থ হলে, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ পৌঁছয় রাজ্যের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কর্মীরা। তবে, রাতে উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখা হয়। এরপর, সোমবার ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হয়ে যায় উদ্ধারকাজ বা তল্লাশি অভিযান। অবশেষে, তলিয়ে যাওয়া একাদশ শ্রেণির ছাত্র রোহিত মোদকের দেহ নিজে থেকেই ভেসে ওঠে নদীতে! ঘটনা ঘিরে এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। শোকস্তব্ধ রোহিতের পরিবার পরিজন সহ এলাকাবাসী। পুলিশের তরফে একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

thebengalpost.net
উদ্বিগ্ন পরিবার :