দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ এপ্রিল: এ যেন জঙ্গল জ্বালিয়ে জল্লাদের হাসি! ‘অর্বাচীন’ আর ‘অসাধু’ সেই মানুষগুলিকে কিছুতেই বাগে আনতে পারছেন না বনদপ্তর থেকে শুরু করে পরিবেশপ্রেমীরা। সোমবার দুপুরে ফের একবার জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের ভাদুতলার জঙ্গলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। ভরদুপুরে, প্রখর রৌদ্রের তাপে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে একরের পর একর জঙ্গল। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় ৬০নং জাতীয় সড়কও। অসহায় বনকর্মীরা খবর দেন মেদিনীপুর দমকল বিভাগে (বা, ফায়ার ব্রিগেড স্টেশনে)। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা- প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমের পর, শেষ পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন মেদিনীপুর দমকল বিভাগ ও ভাদুতলা রেঞ্জের বনকর্মীরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ ৬০নং জাতীয় সড়কের পাশে ভাদুতলার জঙ্গলে (শুকনো ডালপালা, পাতায়) কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। জঙ্গলের পাশেই অবস্থিত ভাদুতলা রেঞ্জ অফিস থেকে দ্রুত দৌড়ে যান বনকর্মীরা। ব্লোয়ার মেশিন দিয়ে এবং গাছের কাঁচা ডাল ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও, ভয়াবহ এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি তাঁরা! এরপরই খবর দেওয়া হয় মেদিনীপুর দমকল বিভাগে। দমকলের ১টি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন দমকল কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত প্রায় ৫ ঘন্টা ধরে বনকর্মীদের সঙ্গে যৌথ তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে, ততক্ষণে প্রায় ২০-২৫ একর জঙ্গলের সবুজ চারা গাছ পুড়ে ধূসর হয়ে গেছে! এদিকে, বার বার বনদপ্তর সহ বিভিন্ন পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের তরফে এই বিষয়ে বার্তা দেওয়া হলেও, কিছু অর্বাচীন ও অসাধু মানুষ নিজেদের অজান্তেই জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে পরিবেশ তথা বন্যপ্রাণের মারাত্মক ক্ষতি করছেন বলে পরিবেশবিদেরা জানিয়েছেন। এই বিষয়ে বনদপ্তরের তরফ যাতে শাস্তিমূলক কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেই দাবিও তুলেছেন তাঁরা।