দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ এপ্রিল: আজ, মঙ্গলবার, ২০ চৈত্র (৪ এপ্রিল) ছিল আদিবাসী সম্প্রদায়ের পূর্ব নির্ধারিত ‘জামশোল শিকার উৎসব’। মেদিনীপুর রেঞ্জের গোপগড় সংলগ্ন জামশোলের জঙ্গলে, শুক্ল চতুর্দশী তিথিতে (পূর্ণিমার আগের দিন) বরাবর শিকার উৎসবে মেতে ওঠেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের একাংশ। তবে, বিগত কয়েক বছর ধরে বনদপ্তর সহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির আন্তরিক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে নির্বিচারে ‘বন্যপ্রাণ শিকার’ বা ‘বন্যপ্রাণী হত্যা’ অনেকটাই কমেছিল। আর, এবার খোদ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এবং জেলা প্রশাসন ও বনদপ্তরের প্রাণপণ প্রচেষ্টায় সেই শিকার উৎসব আরো অহিংস এবং রক্তপাত-হীন হল! যথারীতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। সবমিলিয়ে, একশো শতাংশ না হলেও, এদিন প্রায় রুখে দেওয়া গেছে নির্বিচারে বন্যপ্রাণী হত্যা।
বনদপ্তর থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, একটি বেজি বা নেউল বা মুঙ্গুস (Indian Grey Mongoose) ছাড়া শিকারীরা আর কোন সংরক্ষিত বা বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির প্রাণী (বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকায় তফসিল-১ অনুযায়ী মুঙ্গুস বা বেজি প্রজাতিটি সংরক্ষিত) হত্যা বা শিকার করতে পারেননি। এমনকি, সাধারণ কোন পশু বা প্রাণীও যে এবার তাঁরা শিকার করেছেন, তেমন তথ্য বা ছবি উঠে আসেনি বনদপ্তর সহ সাংবাদিক ও পশুপ্রেমীদের ক্যামেরায়। মৃত বেজি বা নেউল (মুঙ্গুস)-টিকেও উদ্ধার বা বাজেয়াপ্ত করতে সক্ষম হয়েছেন মেদিনীপুর বনবিভাগের আধিকারিকরা। বনদপ্তর সূত্রে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানা গেছে, নিয়ম মেনে বেজি’টির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী মামলাও রুজু করা হয়েছে। কারণ, বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী বেজি বা মুঙ্গুস (Indian Grey Mongoose) সংরক্ষিত তালিকায় থাকা প্রাণী।
এর আগে, মঙ্গলবার সকাল থেকে মেদিনীপুর বনবিভাগের অধীন পিড়াকাটা, ভাদুতলা, গোপগড় এবং মেদিনীপুর রেঞ্জের অধীন অন্তত ১০-টি স্থানে পুলিশ ও বনদপ্তরের তরফে ব্যারিকেড বা নাকা চেকিং পয়েন্ট করে শিকারীদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। সকাল থেকে প্রায় ২-৩ হাজার শিকারীকে বাড়ি পাঠাতে তাঁরা সক্ষম হয়েছেন বলে বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। এজন্য, মেদিনীপুর সদর ব্লকের কঙ্কাবতী, জামশোল সহ বিভিন্ন এলাকায় শিকারীদের বিভিন্ন দলের সঙ্গে বনাঞ্চল আধিকারিকদের বচসাও বাধে। তবে, এদিন শিকারীদের রক্ত চক্ষুকেও দৃপ্ত ভাবে মোকাবিলা করেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। সহায়তা করেন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরাও। তাঁদের বোঝানো হয় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের কথা। এতকিছু সত্ত্বেও অবশ্য সকলের চোখ এড়িয়ে কয়েকশো শিকারী জঙ্গলে প্রবেশ করেন। তবে, শেষ পর্যন্ত তাঁরাও বিশেষ সফল হতে পারেননি বলেই বনদপ্তর ও প্রশাসন সূত্রে খবর। বিকেল নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী জানান, “বনদপ্তরের প্রাণপণ প্রচেষ্টায় এবং পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় বন্যপ্রাণী শিকার রুখে দেওয়া গেছে। শিকারীদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…