দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ এপ্রিল: প্রথা মেনে বুধবার অর্থাৎ ২০ চৈত্র (৩ এপ্রিল) জামশোল শিকার উৎসবের ডাক দেওয়া হয়েছে বিশেষ সম্প্রদায়ের তরফে। এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশ যেভাবেই হোক রুখে দিতে হবে বন্যপ্রাণ হত্যা তথা শিকার উৎসব। রয়েছে বিশেষ বন্যপ্রাণ আইনও। তাই মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকেই বন্যপ্রাণ হত্যা বা শিকার উৎসব রুখে দিতে কোমর বেঁধে নেমেছে বনদপ্তর ও পুলিশ-প্রশাসন। পুলিশ-কে সঙ্গে নিয়ে মেদিনীপুর বনবিভাগের তরফে ৩৩টি নাকা পয়েন্ট করা হয়েছে। মেদিনীপুর রেঞ্জের গোপগড় বিটের অধীন জামশোল এলাকাকে কেন্দ্র করে চলছে ২৪ ঘন্টা নজরদারি।

thebengalpost.net
ভাদুতলাতে চলছে নজরদারি:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

মেদিনীপুর বনবিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাস্তায় থাকবে অতিরিক্ত বাহিনী। পুলিশ ও বনদপ্তরের অতিরিক্ত বাহিনী আসছে ভিন জেলা থেকেও। সবমিলিয়ে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে তথা নির্বিচারে বন্যপ্রাণ হত্যা রুখে দিতে বদ্ধপরিকর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ-প্রশাসন ও মেদিনীপুর বনবিভাগ। এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, বনদপ্তর, প্রশাসন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও পরিপ্রেমী সংগঠনের নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টায় গত কয়েক বছর ধরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের শিকার উৎসবের বহর অনেকটাই কমেছে। বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের সঙ্গেও দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। শিকারের দিনও একপ্রকার বুঝিয়ে-সুঝিয়ে কিংবা আইনি পদক্ষেপের ভয় দেখিয়ে হাজার হাজার শিকারীদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর ফলে গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বিরল কিংবা বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর হত্যা অনেকটাই কমেছিল বলে বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়।

তবে, সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা যায়নি এই শিকার উৎসব! অন্যদিকে, আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, একটিও বন্যপ্রাণ যাতে হত্যা বা ‘শিকার’ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আর সেজন্যই মঙ্গলবার থেকেই কোমর বেঁধে নেমেছে বনদপ্তর ও পুলিশ-প্রশাসন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাদুতলা নাকা পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রেঞ্জ অফিসার শুভাশিস চৌধুরী জানান, “জামশোল শিকার উৎসব রুখে দিতে আজ থেকে আমরা রাস্তায় আছি, একেবারে ২৪ ঘন্টার জন্য। ৩৩টি নাকা পয়েন্ট করা হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) যেভাবেই হোক বন্যপ্রাণ হত্যা আমাদের রুখে দিতে হবে। শিকারীদের প্রথমে বোঝানো হবে, প্রয়োজনে আটকও করা হতে পারে।”

thebengalpost.net
২০২৩ সালের শিকার উৎসবের একটি ছবি: