দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ আগস্ট: ময়ূরের পালক বাড়িতে রাখা নাকি শুভ! লোকমুখে প্রচলিত এই ‘অন্ধবিশ্বাস’-কেই হাতিয়ার করে অসাধু ব্যবসায়ীরা রমরমিয়ে ময়ূরের পালক বিক্রি করে চলেছেন বছরের পর বছর ধরে। ভারতের জাতীয় পাখি ময়ূর (Peacock)-কে হত্যা করে, তার পালক বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে বারবার। শনিবার গোপন সূত্রে তেমনই এক অভিযোগ পেয়ে, মেদিনীপুর বনবিভাগের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে শহরের উপকণ্ঠে কেরানীচটি এলাকা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হল। বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ধৃত ২ জন হল যথাক্রমে- অরবিন্দ সিং ও রাজেন্দ্র সিং। দু’জনই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। দু’জনের বয়স যথাক্রমে, আনুমানিক ৫৫ ও ৩০। তাদের গ্রেপ্তার করে মেদিনীপুর বনবিভাগের মেদিনীপুর বনাঞ্চলের (Midnapore Range) পক্ষ থেকে শনিবার বিকেলেই আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, ধৃত দুই পাচারকারী-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বড় চক্রের সন্ধান চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য যে, মেদিনীপুর শহরের কেরানীচটি এলাকায় শনিবার বিকেলে কয়েকশো ময়ূরের পালকের পসরা সাজিয়ে বিক্রি করছিলেন দুই ব্যক্তি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বনদপ্তরের মেদিনীপুর রেঞ্জের আধিকারিকরা গিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। তাদের কাছ থেকে আড়াইশোর বেশি ময়ূরের পালক উদ্ধার হয় বলে জানা গেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ধৃত অরবিন্দ ও রাজেন্দ্র উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। মেদিনীপুর শহরের স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন আরও কয়েকজনের সাথে। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে বনদপ্তর। বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “যে কোন বন্যপ্রাণ হত্যা বা তার শরীরের অংশ অবৈধভাবে বিক্রি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। ময়ূর বা যেকোনো পাখির শরীর থেকে কিছু পালক ঝরে যায় তা সত্যি। কিন্তু, তা এই মাত্রায় নয়। এক্ষেত্রে, ময়ূরের পালকের গোড়ার অংশে রক্তের হালকা দাগ লক্ষ্য করা গেছে। আমরা নিশ্চিত হয়েছি, ময়ূরকে হত্যা করেই তার পালক ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে বিক্রি করার জন্য! তাই, এদের গ্রেপ্তার করে এই চক্রের অন্যান্যদের সন্ধান চালানো হচ্ছে। একইসঙ্গে, এও জানার চেষ্টা করছি, এই চক্র অন্য কোন অসাধু কারবারের সঙ্গে যুক্ত কিনা। কারণ, শুধু ময়ূরের পালক বিক্রি করে, ভিন রাজ্য থেকে এখানে এসে দিনের পর দিন বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা বেশ মুশকিল!” অন্যদিকে, একটি সূত্রে জানা গেছে, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ- প্রভৃতি রাজ্যে ময়ূরের সংখ্যা বেশি হওয়ায়, সেখানে নির্বিচারে ময়ূর হত্যা করা হয়! আর, সেখান থেকেই বিভিন্ন এলাকায় এইভাবে ময়ূরের পালক পাচার করা হয়। যা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি ও অপরাধমূলক কাজ। পশুপ্রেমী সমাজকর্মী রাকেশ সিংহ দেব জানিয়েছেন, “ময়ূরের পালক বিক্রি করা এবং তা ক্রয় করা দুই-ই অপরাধ। সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে। তাঁদের অন্ধবিশ্বাসকে হাতিয়ার করে অসাধু ব্যবসায়ীরা এইভাবে জাতীয় পাখি ময়ূরের হত্যা করে চলেছে নির্বিচারে! তবে, শুধু ময়ূর নয়, যে কোন বন্যপ্রাণী হত্যা করাই আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বনদপ্তর ব্যবস্থা নিয়ে সঠিক কাজ করেছে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…