তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ অক্টোবর: দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড থেকে নিম্নচাপ ফের গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের দিকে সরে আসতে পারে। ফলে, বৃষ্টি-দুর্যোগ বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে। আগামী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। বুধবার ভারী বৃষ্টি হবে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলায়। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সহ উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়তে পারে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ পশ্চিম দিকের জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে ঠিক এমনটাই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, দুই বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, হাওড়া ও হুগলি জেলাতে সোমবারই বন্যা-সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরমধ্যেই, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সহ হাওড়া, হুগলির বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এদিকে, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের শিলাবতী নদী, মনসুকার ঝুমি নদীতে বেড়েছে জল। ইতিমধ্যেই ঘাটাল মহকুমার ঘাটাল পৌরসভার ৩, ৬, ৭ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং মনসুকা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রামে ঢুকছে শিলাবতী ও ঝুমি নদীর জল। জলে ডুবেছে একাধিক রাস্তাঘাট। সব মিলিয়ে পুজোর আগে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন ঘাটালবাসী। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস সহ জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকেরা। ঘাটাল মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকও করেন জেলাশাসক। ঘাটাল পৌরসভার জলমগ্ন এলাকা ও মনশুকা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করে, জলমগ্ন এলাকার মানুষজনদের ত্রাণ বিলিও করেন জেলাশাসক। তাঁদের সাথে কথাও বলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা।