দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ সেপ্টেম্বর: বেআইনিভাবে বা অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা এবং মাছের ভেড়িই যে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার অন্যতম কারণ, তা এক বাক্যে স্বীকার করছেন এলাকার শিক্ষক, সমাজকর্মী, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নেতা, মন্ত্রী ও বিধায়করাও! কেলেঘাই কপালেশ্বরীর দুকূল প্লাবিত হয়ে, সবং-ডেবরা-পিংলা-ময়না-পটাশপুর-ভগবানপুর প্রভৃতি এলাকা যেভাবে প্লাবিত হয়েছে, তাতে সেই অভিযোগটাই আরো একবার জনসমক্ষে এলো! বর্তমানে জনতার অন্যতম দরবার হল- সোশ্যাল মিডিয়া বা সমাজ মাধ্যম। সেখানে, এলাকার ভূমিপুত্র তথা শিক্ষক, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী শান্তনু অধিকারী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, “বন্যার জল নেমে যাবে। অনেক প্রাণের মূল্য চুকিয়ে আবারও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। সব শোক ভুলিয়ে দেবে সময়। কিন্তু, কেলেঘাইকে রুদ্ধ করে তোলা কাঁটাখালির বেআইনী ইটভাটাগুলোর চিমনি থেকে আবারও উড়বে দম্ভের ধোঁয়া! মুনাফার ছাই দিয়ে ভরাট হবে কেলেঘাইয়ের শরীর। কেলেঘাইয়ের পাড়কে নষ্ট করে, জলনিকাশির প্রাকৃতিক ব্যবস্থাপনাকে ধ্বংস করে গজিয়ে ওঠা ভেড়িগুলোতে আবারও খেলা করবে কোটি কোটি টাকার রুই কাতলা। পোয়াবারো হবে রাঘববোয়াল মাফিয়াদের! এর পরিণতি স্বরূপ- এই বন্যাটা জাস্ট তার একটা ট্রেলার। আসল ছবি এখনও বাকি, তবে খুব দূরে নয়!” পটাশপুর এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক ও সমাজকর্মী কৃষ্ণগোপাল চক্রবর্তী লিখেছেন, “ইটভাটার দৌরাত্ম্য ও ভেড়ি মাফিয়াদের দাপটের ফলশ্রুতি এই বিশালাকার বন্যা! নদীকে অবরুদ্ধ করে কোনো উন্নয়ন কিংবা বিকাশের মডেল টেকেনি আর অদূর ভবিষ্যতে টিকবেও না এটা নিশ্চিত। সময় থাকতে নদীকে তার নিজের স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে না দিলে জলেই জীবন নাশ নিশ্চিত! ভাবুন, এবার কি করবেন?”
শান্তনু, কৃষ্ণগোপালদের দাবি মানছেন রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রীরাও। সবংয়ের বিধায়ক তথা রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভূঁইয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “অধিকাংশ ইটভাটা ও মাছের ভেড়ি বেআইনি। আমি যখন সেচমন্ত্রী ছিলাম এগুলি সরিয়ে দিয়েছিলাম।” নাম না করে তিনি তাঁর বক্তব্যে বিঁধতে ছাড়েননি রাজ্যের প্রাক্তন এক সেচমন্ত্রী তথা বর্তমানে বিজেপি দলে যাওয়া নেতাকেও! তিনি বলেন, “এখন সেচমন্ত্রী হয়েছেন ড. সৌমেন মহাপাত্র। তিনি নিশ্চয়ই এই বিষয়গুলি দেখবেন। কিন্তু, তাঁর আগে যিনি সেচমন্ত্রী ছিলেন, তাঁর এই বিষয়গুলি দেখা উচিত ছিল।” মানস রঞ্জন ভূঁইয়া’র এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন বর্তমান সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রও। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমি মানসদার সঙ্গে একমত। সবংয়ে এসব কার আমলে হয়েছে এখন আর বলে লাভ নেই! তবে, গত ২ বছর আগেই যে এইসমস্ত বেআইনি ইটভাটা ও ভেড়ি হয়েছে, তা এলাকাবাসী থেকে শুরু করে সবাই জানেন। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এনেছি।” তবে, রাজনৈতিক চাপানউতোর যাই থাকুক না কেন, এলাকাবাসী চাইছেন, নদী তার নিজস্ব গতিপথ ফিরে পাক!
(ছবি- ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ নভেম্বর: আইআইটি (IIT)-র মতো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে অভাব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…