দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ সেপ্টেম্বর: দক্ষিণবঙ্গে টানা দুর্যোগের পূর্বাভাস আগামী সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত। আজ (২৩ সেপ্টেম্বর), বৃহস্পতিবারও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান প্রভৃতি জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। ইতিমধ্যে, সকাল থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। আগামীকাল, শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি হলেও, পুরো দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। অন্যদিকে, শনিবার থেকে সৃষ্টি হওয়া জোড়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে রবিবার ও সোমবার দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগণা, হাওড়া প্রভৃতি জেলায় নতুন করে দুর্যোগের সর্তকতা জারি করা হয়েছে! এদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল বুধবার জানিয়েছেন, “টানা দুর্যোগের ফলে জেলায় নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কেশপুর, সবং, পিংলা-র একাধিক এলাকায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের ত্রাণশিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে।” তবে, ঘাটাল থেকে কেশপুর, সবং থেকে পিংলা প্রধান সমস্যা এখন- বিভিন্ন স্কুল বাড়িও জলে ডুবে আছে! এছাড়াও, রাজ্য সড়ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক এর উপর দিয়ে এক গলা করে জল প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কেশপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে জেলাশহর মেদিনীপুরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, সবংয়ের কেলেঘাই নদীর উপর বাঁধে উঁচু এলাকাগুলিতে তাবু খাটিয়ে রাত্রিবাস করছেন প্রায় ২০০-৩০০ টি পরিবার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য ত্রাণ দেওয়া হলেও চরম আহসায় অবস্থায় জীবনযাপন করছে এই পরিবারগুলি!
জানা গেছে, কেশপুর ব্লকের ধলহারা ১৩ নং অঞ্চলের পূর্ব চাকলা গ্রামের গ্রামীণ সড়ক জলে ভেসে গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ পারাপার করছেন। সাইকেল ও বাইক ঘাড়ে করে পের করতে হচ্ছে! বাইক পারাপারের জন্য ২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, আনন্দপুর ৯ নং অঞ্চলে (কানাশোল এলাকায়) রাজ্য সড়কের উপর চাতাল জলে ডুবে যাওয়ায় মেদিনীপুর শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। সবংয়ের তেমাথানি পটাশপুর রাজ্য সড়কের উপর দিয়েও জল বয়ে যাচ্ছে। একাধিক এলাকা ও গ্রামীণ রাস্তা জলে ডুবে আছে। অন্যদিকে, সবং-পিংলা এলাকাতে ইতিমধ্যে ২ লক্ষ মানুষ বানভাসি! টানা বৃষ্টিতে এই সমস্ত এলাকায় নতুন করে বানভাসি হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সবংয়ের কেলেঘাই নদীতীরবর্তী কোপ্তিপুর এলাকায় বাঁধের উপর তাবু খাটিয়ে ২০-৩০০ টি বানভাসি পরিবার রাত্রিযাপন করছেন! ফের দুর্যোগের ফলে আরও হাজার হাজার মানুষ বানভাসি হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, কেলেঘাই-কপালেশ্বরী থেকে শুরু করে শিলাবতী, কংসাবতী প্রভৃতি নদীতে জলস্তর এমনিতেই বেড়েছে, নতুন করে বৃষ্টি হলে জলস্তর আরো বৃদ্ধি পেয়ে একাধিক এলাকা বানভাসি হতে পারে বলে আশঙ্কা!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…