দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ অক্টোবর: ঘাটাল ও খড়্গপুর মহকুমার বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারী। বহু হাপিত্যেশের পর অবশেষে বন্যা পরিদর্শনে এলেন ঘাটালের অভিনেতা-সাংসদ দেব। সোমবার সবং, পিংলা, ডেবরা এবং ঘাটালের বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন সাংসদ দীপক অধিকারী। দুর্গত মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের দুর্দশার কথা শোনেন। কয়েকটি জায়গায় দুর্গত মানুষজনের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলেও দেন। দিন কয়েক আগে ঘাটালের গম্ভীরনগরে বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল বছর ছয়েকের এক শিশুর। এদিন সেই মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গেও দেখা করে সমবেদনা জানান সাংসদ। পরিবারের হাতে ২ লাখ টাকার চেক তুলেদেন দেব। ওই পরিবারকে দেওয়া হয় কিছু ত্রাণ সামগ্রীও।

thebengalpost.net
ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখলেন দেব :

প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, দাসপুর, সবং, পিংলা, ডেবরা এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, পুরোপুরি জল নেমে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হতে এখনও সময় লাগবে বেশ কয়েকদিন। এদিন সাংসদ দেব সবংয়ের চাউলকুড়ি; পিংলার পিণ্ডরুই, গোবর্ধনপুর; ডেবরার ট্যাবাগেড়িয়া এলাকা ঘুরে দেখে চলে যান ঘাটালে। বিকেলে ঘাটাল পুরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের আড়গোড়া চাতাল থেকে স্পিড বোটে চেপে ঘাটাল শহর এলাকার বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন।
দেব আসছে শুনে বন্যা পরিস্থিতিতেও তাঁকে দেখার জন্য নৌকা, ডিঙি নিয়ে গম্ভীরনগর এলাকায় ভিড় জমান স্থানীয় লোকজন। দুঃখের মধ্যেও সাঙ্গাসদ এবং অভিনেতাকে সামনে পেয়ে আপ্লুত স্থানীয় লোকজন। দুর্গতদের পাশে থাকার আশ্বাস দেব সাংসদ। স্থানীয়রা বলেন, বন্যা পরিস্থিতিতে প্রত্যেক বারেই দেব ঘাটালে আসেন। মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

thebengalpost.net
ঘুরে দেখলেন ডেবরা-সবং-পিংলা :

উল্লেখ্য যে, এদিনই ঘাটালে বন্যার জলে থেকে আরও এক যুবকের মৃৎ দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটাল থানাত দন্দীপুর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম শ্যামল দোলই (২৫)। এদিন দুপুরে স্থানীয় উদয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিচুটা দূরে মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যমল দোলই ইঞ্জিন ভ্যান চালাতেন। মাঝে মধ্যে মদ্য পান করতেন বলেও জানা যাচ্ছে। সোমবার সকালেও তাঁকে অনেকে এলাকায় দেখেছেন। তারপর কীভাবে তাঁর মৃত্যু হোল পরিষ্কার নয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে না।” অন্যদিকে, জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় ৯০ হাজার বাড়ি ধুলিস্যাৎ হয়েছে! এখনও ত্রাণ শিবিরে আছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।

thebengalpost.net
দুর্গত পরিবারকে করলেন সাহায্য :