শশাঙ্ক প্রধান ও তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ অক্টোবর: ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোনা থেকে ডেবরা, সবং, পিংলা – পশ্চিম মেদিনীপুরের বহু গ্রাম ইতিমধ্যে জলের তলায়! ঘাটাল পৌর এলাকা সহ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। সবং ব্লকের বহু গ্রামও জলের তলায়। প্লাবিত ডেবরা, পিংলা, বেলদা, নারায়ণগরের বিভিন্ন এলাকাও। ফুঁসছে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী থেকে কংসাবতী-শিলাবতী। জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে রূপনারায়ণেও। এদিকে, ফের গালুডি ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় সুবর্ণরেখা তীরবর্তী এলাকাগুলি নিয়েও বাড়ছে দুশ্চিন্তা। তবে, বুধবার বিকেল অবধি সবং ব্লকের অবস্থাই সবথেকে খারাপ বলে জানা গেছে। এরপরই আছে পিংলা ও ঘাটাল।

thebengalpost.net
ঘাটাল:

প্রসঙ্গত, মেঘ ভাঙা টানা বৃষ্টির জেরে কেলেঘাই, কপালেশ্বরী নদীর জলস্তর বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে। আর এতেই প্লাবিত হয়ছে সবং ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। বুধবার দুপুরে বানভাসী সবংয়ের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। ছিলেন মহকুমাশাসক, বিডিও, ওসি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্য প্রমুখও। জেলাশাসক জানান, “সবংয়ে বন্যা পরিস্থিতি এখনও অবধি নিয়ন্ত্রনে আছে। এখনো পর্যন্ত ১০০টি ত্রান শিবির খোলা হয়েছে। ২০০০ হাজার মানুষ রয়েছে ওই শিবিরগুলিতে। পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় জল, ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

thebengalpost.net
সবংয়ে DM, SP :

অন্যদিকে, টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ঘাটাল মহকুমাও। ঘাটাল পৌরসভার ১৩টি ওয়ার্ড এর মধ্যে বেশিরভাগই জলমগ্ন। চন্দ্রকোনা ১, ২ এবং দাসপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকাও প্লাবিত। একের পর এক বাঁশের সাঁকো জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। খোদ শহর মেদিনীপুরের উপকণ্ঠে কংসাবতী নদী তীরবর্তী এলাকাতেও জলের তোড়ে ভেঙেছে বাঁশের সাঁকো। জেলা জুড়ে ইতিমধ্যেই বহু মাটির বাড়ি ভেঙেছে বলে জানা গেছে। বুধবার দুপুরেই জেলা প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন ব্লকের জন্য লক্ষাধিক ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ডেঙ্গু আতঙ্কের মধ্যেই ডায়রিয়া ও সাপের কামড় থেকে প্লাবিত এলাকার মানুষজনকে রক্ষা করতে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে পর্যাপ্ত ORS, ওষুধপত্র এবং অ্যান্টি-ভেনমের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক। এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বৃষ্টি কিছুটা কমবে বলে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও আতঙ্কিত নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা!

thebengalpost.net
সবংয়ের ত্রাণ শিবিরে জেলাশাসক: