দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ মার্চ:ভরদুপুরেই ভয়াবহ আগুন! অন্ধকারে ঢেকে গেলো ৬০ নং জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ এলাকা। বনদপ্তরের কর্মীদের সাথে সাথে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী থানার অধীন ভাদুতলা এলাকার। ৬০ নং জাতীয় সড়ক সংলগ্ন ভাদুতলা বনাঞ্চলের ভাদুতলা জঙ্গলের দুই পাশে সোমবার দুপুর নাগাদ এই ভয়াবহ আগুন লাগে। প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলে বন্যপ্রাণী হত্যা রুখতে এবং জঙ্গলে আগুন লাগানোর বিষয়ে সচেতন করতে রবিবার বনদপ্তরের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল সাইকেল র‍্যালি, অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের লোকসংস্কৃতি শাখার উদ্যোগে এবং শালবনী থানার সহযোগিতায় শালবনীর বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা অভিযান স্বরূপ পথ নাটকের আয়োজনও করা হয়েছিল! তা সত্বেও যে, অজ্ঞ, অর্বাচীন, অসচেতন মানুষের মধ্যে নূন্যতম বিবেক-বোধ জাগ্রত হয়নি, এই ঘটনায় আবার তা প্রমাণ হল!

thebengalpost.net
জঙ্গলে ভয়াবহ আগুন :

সচেতনতার বার্তা দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই, শালবনী থানার অন্তর্গত ৬০ নং জাতীয় সড়কের ভাদুতলার জঙ্গলে লাগলো ভয়াবহ আগুন। সোমবার দুপুরে এই আগুনের তীব্রতা এতোটাই ছিলো যে ৬০ নং জাতীয় সড়ক কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। এলাকার মানুষ ও পথচারীদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়। দ্রুত পৌঁছে যান ভাদুতলার বনাঞ্চল আধিকারিক পাপন মোহান্তের নেতৃত্বে বনকর্মীরা। খবর দেওয়া হয় মেদিনীপুর দমকল বিভাগেও। তবে ততক্ষনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা জঙ্গল জুড়ে। প্রায় দু’কিলোমিটার জঙ্গল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শালবনী থানার পুলিশও। পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় ঘন্টাখানেকের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। তবে, এতো সচেতনতার বার্তা দেওয়ার পরও আগুন লাগানোর ঘটনায়, হতবাক বন বিভাগের আধিকারিকরা! রেঞ্জ অফিসার পাপন মোহান্ত জানিয়েছেন, “জঙ্গলের ওই অংশে আগুন লাগানো আটকাতে আমরা বেড়া দিয়ে দিয়েছি। তা টপকেই কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, কোনোও অসচেতন মানুষ বা গাড়ির চালক হয়তো ধূমপান করার পর অবশিষ্ট অংশ জঙ্গলে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন! এই ধরনের অজ্ঞতার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের।”

thebengalpost.net
বাঁশের বেড়া টপকেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে :