দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ অক্টোবর: কালী পুজোর ঠিক আগের সন্ধ্যাতেই ভয়াবহ অগ্নিকান্ড! দমকলের ৩টি ইঞ্জিনও রীতিমতো হিমশিম খেল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। প্রসঙ্গত, জেলা শহর মেদিনীপুরের অভিজাত বিধাননগর (পূর্ব) এলাকায়, সার্কিট হাউস সংলগ্ন জনবহুল পাড়ার ভেতরে অবস্থিত সরিষার তেলের গোডাউনে রবিবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে। ওই গোডাউনের ওপর তলাতে আবার অনেকের বসবাস। আগুন লাগার পর স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। খবর দেওয়া মেদিনীপুর ফায়ার ব্রিগেডে। শহরের সিপাই বাজার থেকে দ্রুত পৌঁছয় ২টি ইঞ্জিন। তাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় আরও একটি ইঞ্জিন পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। প্রায় ঘন্টা তিনেকের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে, ঠিক কি কারণে আগুন লেগেছিল, তা দমকল পরিষ্কার করে জানাতে পারেনি।
উল্লেখ্য যে, মেদিনীপুর শহরের একেবারে কেন্দ্রে সার্কিট হাউস সংলগ্ন বিধাননগর পূর্ব এলাকায় এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা-সাড়ে ৬টা নাগাদ। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মন্টু সিনহার হার্ডওয়ার্স ও সর্ষের তেলের ব্যবসা রয়েছে। দোতলা বাড়ির ওপর তলাতে অনেকেই থাকেন। নিচের তলাতে হার্ডওয়ারসের সামগ্রী সহ তেল প্যাকিংয়ের গোডাউন। রবিবার সন্ধ্যায় সেই তেল প্যাকিংয়ের গোডাউনে আগুন লেগে যায় কোন ভাবে। আগুনের শিখা ও ধোঁয়া ওপর পর্যন্ত পৌঁছে গেলে চিৎকার-চেঁচামেচি করে উপরে থাকা লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসেন। প্রতিবেশীরাই খবর দেন দমকলে। একে একে দমকলের তিনটি ইঞ্জিনে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যায়। সন্ধ্যা ছটা থেকে রাত্রি প্রায় ন’টা পর্যন্ত টানা কাজ করতে হয় তাঁদের। দমকলের স্টেশন অফিসার চিন্ময় বক্সী বলেন, “কি কারণে আগুন লেগেছিল, তা পরিষ্কার হয়নি। তবে, ভেতরে প্রচুর পরিমাণে কার্টুন, গোডাউনে আরো অন্যান্য কাগজ সামগ্রী, প্লাস্টিকের বোতল, প্যাকিং সামগ্রী থাকায় তাতে আগুন লেগে ছড়িয়েছিল। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।”
এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল স্থানীয়দের মধ্যে। মিলের পাশের বাড়ির বাসিন্দা মানিক জানা বলেন, “বাইরে থেকে প্রচুর তেলের গাড়ি এখানে আসে। এখানে খালি ও ভর্তি হয়। এখানকার এই পদ্ধতি নিয়ে, এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের সংশয় হয়েছিল আগেই। প্রতিবাদ করেছিলাম আগেও। তাতেও কোন পরিবর্তন হয়নি পরিস্থিতির।” তবে, এই মিলের মালিক মিন্টু সিনহা হার্ডওয়ার্স প্রসঙ্গে বললেও তেলের গোডাউন করা বিষয়ে প্রশ্ন করতেই অস্বস্তিতে পড়েন। নিজের নাম না বলেই বেরিয়ে যান। তিনি বলেন, “আমার হার্ডওয়ার্সের বিভিন্ন সামগ্রী ও প্যাকিং এর জিনিসপত্র ছিল। পাশাপাশি স্থানে বাচ্চারা বাজি নিয়ে খেলছিল। সেই বাজি ছিটকে ভেতরে পড়ে গিয়ে হয়তো এই সমস্যা হয়েছিল। তবে, ভেতরে শেষ প্রান্তে তেলের প্যাকিং হয়।” এই ঘটনায় স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ করলেন, “জনবহুল এলাকার ভেতরে, নিরাপত্তা ছাড়াই তেলের গোডাউন চালানো নিয়ে আগেই অভিযোগ করেছিলাম স্থানীয় কাউন্সিলর সহ বিভিন্ন জায়গায়। এই ঘটনা আরো আতঙ্কিত করলো আমাদের।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…