দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ নভেম্বর: মাতৃ রূপে (দেবী রূপে) কন্যার আরাধনা। এককথায় তাই কুমারী পূজা রূপে খ্যাত। জেলা শহর মেদিনীপুরের পঞ্চুরচকে অনুষ্ঠিত ‘অগ্নিকন্যা ক্লাব’ এর সেই কুমারী পূজা ঘিরেই, বুধবার দুপুরে, মহানবমী তিথিতে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেল দর্শনার্থীদের মধ্যে। প্রসঙ্গত, নবমী তিথিতেই হয় জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল আয়োজন। মেদিনীপুর শহরের অগ্নিকন্যা ক্লাবের তরফে বুধবার (২ নভেম্বর) কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। যেখানে ৯ জন শিশুকন্যাকে দেবী রূপে পুজো করা হয়।

thebengalpost.net
কুমারী পূজা:

ক্লাবের উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, মা দুর্গার নয়টি রূপ- শৈলকন্যা, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্ধমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী৷ মর্তে তাঁরা বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন ভাবে পূজিত হয়ে আসছেন যুগ যুগ ধরে। এই পুজোর বিশেষত্ব হল, মা দুর্গার নয়টি রূপকেই পুজো করা। তাই, মা দুর্গাকে সন্তুষ্ট করতেই নব কুমারী পুজোর আয়োজন করলেন ক্লাব কর্তারা। আর, এই পুজো দেখতেই ভিড় জমান জেলা শহরের বাসিন্দারা। কারণ, কুমারী পুজোতে একজন কুমারীকেই পুজো করে সন্তুষ্ট করা হয়। স্বভাবতই,অগ্নিকন্যা ক্লাবের এই নব কুমারী পুজো ঘিরে উৎসাহ লক্ষ্য করা যায় এলাকাবাসীর মধ্যে। পুজোর উদ্যোক্তাদের তরফে প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “রাজা কৃষ্ণচন্দ্র স্বপ্নাদেশে শুক্লপক্ষে দেবী দুর্গার পুজো করতে চেয়েছিলেন। সেই থেকেই জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা। আর, এই জগদ্ধাত্রী পুজো এখন সর্বজনীন হয়ে উঠেছে। মা দুর্গা বিভিন্ন সময়ে মর্তে বিভিন্ন রূপে আবির্ভূতা হয়েছেন। মা দুর্গার এই নয়টি রূপই আমরা কুমারী হিসেবে তুলে ধরেছি আমাদের এই মন্ডপে। এই বছর আমাদের পুজো বারো বছরে পদার্পণ করলো। মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে দীর্ঘ বিপর্যয় কাটিয়ে আমরা পূজোর আয়োজন করেছি।”

thebengalpost.net
দেবী রূপে আরাধনা:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):