দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ অক্টোবর: জঙ্গলমহলের একদা মাওবাদী অধ্যুষিত শালবনী ব্লকের পিড়াকাটা। আতঙ্কের সেই রেশ কবেই উধাও! উন্নয়নের ছোঁয়া আর আধুনিকতার স্পর্শে উজ্জ্বীবিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্যতম বর্ধিষ্ণু এই গ্রাম। একসময় এই গ্রামে দুর্গাপূজা হতো সাকুল্যে একটি। ২০১৮ থেকে গ্রামে আরও একটি দুর্গাপুজো আয়োজিত হচ্ছে। প্রথম বছরই সাড়ম্বরে উদ্বোধিত হয়েছিল, পিড়াকাটা বাজারের এই পুজো। শালবনী ব্লকের সেরা পুজোর শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। করোনা আবহে গত বছরের (২০২০) পুজো কিছুটা অনাড়ম্বর ভাবে আয়োজিত হয়েছিল। ফের এবার, শালবনী ব্লকের সেরা পুজো হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে “পিড়াকাটা বাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব”। পুজোর বাজেট প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা। ষষ্ঠী’র দিন পুজো’র উদ্বোধন হয়েছে রক্তদান শিবির এবং দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের বস্ত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে। উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ, বিডিও প্রণয় দাস, শালবনী থানার আইসি গোপাল বিশ্বাস, পিড়াকাটা পুলিশ পোস্টের ইনচার্জ আনন্দ মণ্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনু কোয়াড়ি, সহ সভাপতি বুলবুল হাজরা, কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পরিমল ধল সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। পুজো কমিটির আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন অতিথিরা। পুজোয় সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে সাথে স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। মণ্ডপের বাইরে মডেলের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে করোনা অতিমারীর ভয়াবহতা এবং সংক্রমণ রুখে দেওয়ার বার্তা। আর, মণ্ডপ সজ্জাতেও অভিনব কারুকার্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তবে, পিড়াকাটা বাজার পুজোর এবারের সবথেকে বড় আকর্ষণ হল- একশো শতাংশ পাটের প্রতিমা এবং তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অপরূপ শিল্প-কারুকার্য। মুগ্ধ হচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
প্রসঙ্গত, পাট শিল্প-কে চাঙ্গা করে তুলতে এবং বিশ্বের বাজারে পাটের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী করে তুলতে রাজ্য সরকার আন্তরিক ভাবে সচেষ্ট। সেই পাটের অপরূপ শিল্পবৈভব প্রস্ফুটিত হয়েছে পিড়াকাটার মাতৃ প্রতিমা’র সৌন্দর্যে। পরিবেশ বান্ধব এই শিল্প উপকরণের মাধ্যমে মাতৃ প্রতিমা ও মন্ডপের ভেতরের কারুকার্য সম্পন্ন করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পী পবন দেব। পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, “পরিবেশবান্ধব উপকরণের মধ্য দিয়ে শিল্প সৌন্দর্য প্রস্ফুটিত করাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আধুনিক মণ্ডপসজ্জা তুলে ধরতে চেয়েছিলাম আমরা। অতিমারীর ভয়াবহতা কেটে গেলেও, সর্তকতা অবলম্বন জরুরি। তাই, মন্ডপের বাইরের সজ্জাতে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত বৈচিত্র্যময় মডেল তুলে ধরা হয়েছে। দূরত্ব বজায় রেখে ও কোভিড বিধি মেনে কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে, এলাকার ছাত্র-ছাত্রী ও মহিলাদের জন্য।” এছাড়াও, খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন তো আছেই। সবমিলিয়ে বেশ জমজমাট প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলের এই দুর্গাপুজো। “শালবনী ব্লকের সেরা পুজো ও জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় পুজো” হিসেবে এটিকে উল্লেখ করেছেন জেলার বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ। কলকাতার দু’টি মিডিয়া হাউসের পক্ষ থেকে এই পুজোকে গ্রামাঞ্চলের সেরা পুজো হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…