দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ৯ সেপ্টেম্বর: “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি, চির কল্যাণকর/ অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর…!” পুরুষদের সহায়তাতেই ২০০৪ সাল থেকে পুজো করে আসছেন এলাকার মহিলারা। গত ১৮ বছরে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের মালঞ্চ এলাকার ‘মৈত্রেয়ী’ পরিচালিত দুর্গা পুজো। বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে সরকারি অনুদান পাওয়াও শুরু হয়েছিল। ক্রমেই জাঁকজমকে-আড়ম্বরে মৈত্রী পরিচালিত মাতৃ আরাধনা প্রশংসা কুড়োচ্ছিল বিভিন্ন মহল থেকে! সেটাই কি তবে কাল হলো? নাকি অরাজনৈতিক শারদোৎসবের আনন্দে ‘রাজনৈতিক মতবিরোধ’-ই বাধা সৃষ্টি করলো? প্রশ্ন মৈত্রেয়ী’র মহিলাদের। প্রশ্ন খড়্গপুরের মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দাদেরও! আর, এসব কারণেই মৈত্রেয়ী’র ১৯ তম বর্ষের দুর্গা পুজো ঘিরে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ!
ঘটনাক্রমে জানা যায়, মালঞ্চ এলাকার যুব সংঘ ক্লাবের মাঠে গত ২০০৪ সাল থেকে দুর্গাপূজা করে আসছেন এলাকার মহিলারা। ‘মৈত্রেয়ী’ নাম দিয়ে গড়ে তুলেছেন পুজো কমিটি। পুজো মহিলাদের পরিচালনায় হলেও, যুব সংঘের পুরুষ সদস্যরা সার্বিকভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এসেছেন এতো বছর ধরে। আর, বাড়াবেন নাই বা কেন? মৈত্রেয়ী’র সদস্যারা তো তাঁদের-ই স্ত্রী কিংবা বৌদি, কাকিমা, জ্যাঠিমা তথা বাড়ির সদস্যা। সব ঠিকঠাক ভাবেই এগোচ্ছিল। সম্প্রতি, ২০২২-এর পুর নির্বাচনে ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তথা বর্তমান কাউন্সিলর বি. হ্যারিশের সমর্থনে প্রচারে নেমেছিলেন মৈত্রেয়ী’র অধিকাংশ সদস্যা! আর, তাই ঘিরেই যুব সংঘের বাম ও বিজেপি মনোভাবাপন্ন সদস্যদের গোঁসা হয়েছে! তাই, যুব সংঘের তৃণমূল মনোভাবাপন্ন সদস্যরা চাইলেও, তাঁরা আর মৈত্রেয়ী’র পুজো যুব সংঘের মাঠে আয়োজন করতে দিতে রাজি নন! মৈত্রেয়ী’র সদস্যরা জানিয়েছেন, “বর্তমান সরকার আমাদের পুজোয় অনুদান দেয়। গতবার-ও ৫০ হাজার টাকা পেয়েছি আমরা। এবারও আমরা ৬০ হাজার টাকা পাব। তাই, শাসক দলের প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছিলাম। তারপর থেকেই ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরূপ আচরণ!”
যদিও, বিষয়টি অস্বীকার করে যুব সংঘের বর্তমান পদাধিকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেটা নিয়ে ওঁরা একবার ক্লাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিলেন। এবারও, পুলিশের উপস্থিতিতে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তাতে ওঁরা সই করেননি!” সবমিলিয়ে মালঞ্চ’র মৈত্রেয়ী’র সঙ্গে যুব সংঘের মতবিরোধ-মনান্তর। রসিদ বই ছাপিয়েও তাই চাঁদা তুলতে পারছেন না মৈত্রেয়ী’র সদস্যারা। যদিও, শাসকদলের সমর্থন বা প্রশাসনের (পৌরসভার) সহায়তা তাঁরা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। মৈত্রেয়ী’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্যা সোয়েতা গুপ্তা, তৃপ্তি চ্যাটার্জি-রা জানিয়েছেন, “মৈত্রেয়ী’র পুজো হবেই। যুব সংঘের মাঠে না হলেও, অন্যত্র খোলা আকাশের নীচেই হবে!” তবে, শেষ পর্যন্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…