দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ মার্চ:আজ (১২ মার্চ), শনিবার হয়েছে মাধ্যমিকের জীবন বিজ্ঞান (Life Science) পরীক্ষা। কিন্তু, গতকালের (১১ মার্চ) ইতিহাস পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কয়েকটি প্রশ্ন সিলেবাস বহির্ভূত বলেও অভিযোগ করা হয়েছে পড়ুয়াদের তরফে। অনেক শিক্ষকও অভিযোগ করেছেন, বেশকিছু প্রশ্ন মাধ্যমিকের মানের হয়নি, অনেক উঁচু ক্লাসের মতো হয়েছে। কিছু প্রশ্ন আবার ঘুরিয়ে করা হয়েছে। আবার, এক-দু’টি অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন নিয়ে সত্যিই ‘বিতর্ক’ আছে, হয়তো ওই প্রশ্ন গুলি না করলেই ভালো হতো! এর মধ্যে একটি ১ নম্বরের প্রশ্নে বিশেষ ‘ধর্ম’ উল্লেখ করে উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছে, যেটা শিক্ষার্থীদের মনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে শিক্ষকদের বিভিন্ন মহল থেকে। দু’একটি মাল্টিপল চয়েস বা বহু বিকল্প মূলক প্রশ্নে আবার একাধিক উত্তর সঠিক হবে বলে জানা গেছে। এদিকে, পরীক্ষা খুব একটা ভালো হয়নি বলে জানিয়েছে বেশিরভাগ সাধারণ মানের পরীক্ষার্থীই। অনেক মেধাবী পড়ুয়াও স্বীকার করেছে, প্রশ্ন বেশ জটিল হয়েছে! এমনিতেই, করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় পঠনপাঠনে দীর্ঘ অনভ্যাসের পর অফলাইনে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিচ্ছে পড়ুয়ারা। ফলে, পাঠ্যক্রম সংক্ষিপ্ত করে জানানো হয়েছিল, সব দিক মাথায় রেখেই প্রশ্ন করা হবে। কিন্তু, শুক্রবার ইতিহাসের প্রশ্ন বেশ কঠিন তো বটেই; এমনকি রীতিমতো অবৈজ্ঞানিক ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে!

thebengalpost.net
মাধ্যমিক পরীক্ষা (নিজস্ব চিত্র) :

শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পরীক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, এই প্রশ্নে মেধাবী পড়ুয়াদের হয়তো খুব বেশি সমস্যা হয়নি, তবে সাধারণ মেধার ছাত্র-ছাত্রীদের শুক্রবারের ইতিহাস প্রশ্ন রীতিমতো কাঁদিয়ে ছেড়েছে বলেই জানা গেছে। রাজ্যের একাধিক স্বনামধন্য গৃহশিক্ষক জানিয়েছেন, পাঠ্যবই ভাল ভাবে পড়েও ঠিকমতো উত্তর লিখতে পারেনি অনেক ছাত্র-ছাত্রী। কারণ, দু’একটি প্রশ্নের উত্তর পাঠ্য বই খুঁজলেও পাওয়া মুশকিল! সরাসরি নয়, প্রশ্ন করা হয়েছে অনেক ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ আবার জানান, গ্রামবাংলার যে সকল পড়ুয়া শুধু পাঠ্যবই পড়ে বা গতানুগতিক ভাবে পড়তে অভ্যস্ত, ‘চার নম্বরের’ প্রশ্নের উত্তর দিতে তাদের রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “বহু সাধারণ মানের ছাত্র-ছাত্রী উত্তর লিখতে না-পেরে বসে ছিল গতকাল! কোভিড অতিমারির আবহে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পরে পড়ুয়ারা যখন জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসছে, তখন এই ধরনের প্রশ্ন অসংবেদনশীলতাকেই প্রকাশ করে।”