দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ জুন: সকাল ৮-তেই তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রির বেশি। সকাল সাড়ে ৯-টায় ৩৫ ডিগ্রির বেশি (35.78°C)! সারা দেশে চলছে সবথেকে দীর্ঘ তাপপ্রবাহ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ভেঙেছে সর্বকালীন রেকর্ড। ‘গাছ কাটতে কাটতে’ জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাকে চলতি মরশুমে ৪৮ ডিগ্রিতে (কলাইকুন্ডা) পৌঁছে দিয়েছেন ‘অ-কৃতজ্ঞ’ বাসিন্দারা! এই পরিস্থিতিতে সবুজের জয়গান আর অভিযানেই যে ‘মুক্তি’, তা বোঝাতে আসরে প্রকৃতি-প্রেমী একদল শিক্ষক।
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর গোয়াপিয়াশাল এমজিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এনএসএস ইউনিটের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অন্তত একটি করে গাছ দত্তক নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ (৫ জুন) উপলক্ষে। গরমের ছুটি থাকলেও, তাদের বিদ্যালয়ে ডেকে একটি করে জামরুল ফলের চারা তুলে দিয়েছিলেন শিক্ষকরা। পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে প্রতি বছর পড়ুয়াদের অন্তত একটি করে গাছ লাগিয়ে, সেটিকে রক্ষা করার বার্তা দেন বর্ষীয়ান শিক্ষক স্বপন কুন্ডু, শুভেন্দু রায় থেকে পরিবেশপ্রেমী শিক্ষক মণিকাঞ্চন রায়, শিবপ্রসাদ কুন্ডু প্রমুখ। অন্যদিকে, পরিবেশ দিবসে পরিবেশ তথা গাছকে ভালোবাসার পাঠ দেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ভাগবতচরণ হাই স্কুলের শিক্ষকরাও।
তখনও (৫ জুন) স্কুলে আসা শুরু হয়নি ছাত্র-ছাত্রীদের। কিভাবে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দেওয়া যায় পড়ুয়াদের? দাঁতন ভাগবতচরণ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক চিঠির ফরম্যাটে ছাত্রছাত্রীদের হোয়াটস্যাপ গ্রুপে (WhatsApp Group) লেখেন, “তোমরা নিজেদের গ্রামের কিংবা কাছাকাছি খুব প্রাচীন বৃক্ষটির সঙ্গে একবার দেখা করে এসো। জড়িয়ে ধরো, দাদু-ঠাকুমা ভেবে। ভালোবাসো। আদর করে এসো। আর প্রত্যেকে গাছকে আদর করার ছবি তুলে এই গ্রুপে পাঠাও।” প্রধান শিক্ষকের এমন নির্দেশ পেয়েই পরিবেশ দিবসে ছাত্র-ছাত্রীরা ছুট যায় প্রাচীন বৃক্ষ খুঁজতে! নিজেদের মতো গাছ খুঁজে জড়িয়ে ধরে। আদর করে। বন্ধুত্ব করে গাছের সঙ্গে। এরপর, গাছকে জড়িয়ে ধরার সেই ছবি তুলে পাঠায় স্কুলের গ্রুপে। পরিশেব দিবসে ছাত্র-ছাত্রীদের গাছকে ভালোবাসার এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন প্রধান শিক্ষক। অসংখ্য লাইক, কমেন্ট, শেয়ারে ভরে যায় সেই সব পোস্ট। উৎসাহিত, আপ্লুত হয় পড়ুয়ারা! দিকে দিকে প্রশংসিত হয় স্কুলের এই উদ্যোগও। দাঁতন ভাগবত চরণ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ দাস বলেন, “কোনও জিনিসকে ভালোবাসতে না শিখলে, তার প্রতি মমত্ববোধ গড়ে উঠে না। বর্তমানে উষ্ণায়ণের প্রভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন প্রতিটি মানুষ। আর এই উষ্ণায়নের হাত থেকে একমাত্র পরিত্রাণ দিতে পারে গাছ। কিছু মানুষ পরিবেশের কথা না ভেবে সবুজ ধ্বংস করছে। পরিবেশের প্রতি, গাছের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে তাঁর মধ্যে এই ভাবনা আসবে কী করে। আজকের ছাত্রছাত্রীরা আগামীর ভবিষ্যৎ। তাই এদের মধ্যে পরিবেশের প্রতি, গাছের প্রতি ভালোবাসা যদি তৈরি করা যায় তাহলে আগামীতে এর সুফল পাওয়া যাবে। কারণ, ‘আরোগ্যের জন্য ওই সবুজের ভীষণ দরকার’!” ঐতিহাসিক দাঁতনের স্কুলের এই উদ্যোগে অনেকেই আবার স্মরণ করছেন, অরণ্য বাঁচাতে সত্তরের দশকে সুন্দরলাল বহুগুনার নেতৃত্বে চিপকো আন্দোলনের কথাও।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…