দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ জানুয়ারি: বামেদের রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি! বিধানসভা নির্বাচনে একটিও আসন জোটেনি। সেখানে তৃণমূল একাই দু’শোর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায়। তেমনই এক পরিস্থিতিতে একেবারে দলের জেলা সভাপতির ব্লকেই পর্যদুস্ত হল রাজ্যের শাসকদল। হয়তো তা সমবায় নির্বাচন! তবে, সেখানেও তো খেটে খাওয়া শ্রমিক-কৃষকের ভোটই প্রতিফলিত হয়েছে। রবিবার (১৬ জানুয়ারি), পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে সমবায় পরিচালন সমিতির কর্মকর্তা নির্বাচনে তৃণমূলকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে, জয়ী হলেন কৃষক, ক্ষেতমজুর শ্রমজীবী মানুষের “সমবায় বাঁচাও মঞ্চে”র প্রতিনিধিরা। প্রসঙ্গত, দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের নিশ্চিন্তপুর এলাকার আদমপুর – ফরিদপুর সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিলো রবিবার। এই দাসপুর- ২ নম্বর ব্লকেরই বাসিন্দা তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুদাইত। তাঁর নিজের গড়েই ২৯-২৮ ব্যবধানে জয়ী হল বাম (সিপিআইএম) সমর্থিত জোট। এযেন তৃণমূলের মধ্যগগনে বামেদের লাল সূর্য! যদিও, এই হারকে ‘নৈতিক জয়’ বলেছেন তাঁর দলের নেতা। ব্লকের এক নেতা জানিয়েছেন, “আমরা এই সমবায়ে শূন্য ছিলাম, সেখান থেকে ১৮ হল! এখানে আগে থেকেই সিপিআইএম ছিল।”

thebengalpost.net
বামেদের জয় :

অপরদিকে, বাম নেতাদের বক্তব্য, “এই সমবায়ে তৃণমূল ভোট বন্ধ রেখে দখলদারী রাজনীতির মাধ্যমে কুক্ষিগত করতে চেয়েছিলো। এলাকার সাধারণ মানুষ চোখের সামনে দেখেছে আফ কিমি দূরে নিশ্চিন্তপুর সমবায় দপ্তরে কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করে তৃণমূল সেই সমবায়ে গত দু’বছর তালা চাবি দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এমনই ঘটনা পাশ্ববর্তী চাঁইপাট সমবায়ে ৭৬ লক্ষ টাকা এবং বেনাই সমবায়ে ৩৬ লক্ষ টাকা লুঠ করে তৃণমূল পরিচালিত কমিটি। আর, আদমপুর – ফরিদপুর সমবায়ের ভোটও তৃণমূল আটকাতে চেয়েছিলো। জনগণ তথা সমবায় বাঁচাও কমিটি কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত কোটের নির্দেশে সেই নির্বাচন হয় রবিবার।” মোট ৪৭ টি আসনে দ্বিমুখী লড়াই হয়। একদিকে সমবায় বাঁচাও কমিটি সহ গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট অপরদিকে শাসকদল তৃণমূল। উত্তেজনা থাকায়, ভোট কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন প্রক্রিয়ার পর ফলাফল ঘোষনা হয়। সমবায় বাঁচাও মঞ্চ ২৯ টি আসনে জয়ী হয়। মাত্র ৭ থেকে ১২ টি ভোটের ব্যাবধানে বাকি ১৮টি আসনে তৃণমূল জয়ী হয়। এরপরই বাম সমর্থিত জোটের পক্ষে বিজয় মিছিল করা হয়!