দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ অক্টোবর: শোনা গিয়েছিল, নিজেরা প্রার্থী না দিয়ে, ‘নাগরিক মঞ্চে’র নামে কোনও চিকিৎসক কিংবা শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতের কাউকে প্রার্থী করতে পারেন বামেরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তা হলো না! বাম শরিক সিপিআই ‘প্রার্থী’ নিয়ে সমঝোতা করতে চায়নি। সোমবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর সহ ৫টি আসনের (হাড়োয়া বাদে) প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে বামফ্রন্টের তরফে। ২৩৬ মেদিনীপুর বিধানসভা আসনের প্রার্থী হয়েছেন প্রত্যন্ত শালবনী ব্লকের চৈতা গ্রামের বাসিন্দা, পেশায় কৃষক মণিকুন্তল খামরুই। মণিকুন্তল সিপিআই জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বলে জানা গেছে। এছাড়াও, সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন AITUC-র নেতা ও সর্বক্ষণের কর্মী। বাড়ীতে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছেন। নিজস্ব জমিতে চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করেন বলে জানিয়েছেন মণিকুন্তল। পার্টি তাঁর উপর ভরসা করায় ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। দলের নীতি ও আদর্শ এবং আর জি কর কাণ্ড সহ রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের দুর্নীতি-অপশাসন, দিদি-মোদি সেটিংয়ের বিরুদ্ধেই মেদিনীপুরবাসী ভোট দেবেন বলে বিশ্বাস তাঁর।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী সুজয় হাজরা সোমবার সন্ধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পঞ্জিকা মতে একেবার ‘শুভক্ষণ’ দেখে আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর), কৃষ্ণ সপ্তমী তিথিতে তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন। সময় বেলা ১টা থেকে ২টো। মেদিনীপুর শহরের বিধাননগরে প্রচারের মাঝে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “যেহেতু আমরা একটু পঞ্জিকা-টঞ্জিকা মানি, তাই বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১টা-২টোর মধ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়ার বিষয়টি স্থির করা হয়েছে।” এদিন তিনি আত্মবিশ্বাসী কন্ঠে এও জানিয়েছেন, মেদিনীপুর বিধানসভা থেকে সাধারণ মানুষ তাঁকে ‘রেকর্ড’ ভোটে জয়ী করবেন। উল্লেখ্য যে, এদিন বিকেলের পর হুড খোলা জিপে ৫নং ওয়ার্ডের বিধাননগর সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার সারেন সুজয় হাজরা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী তথা স্থানীয় কাউন্সিলর মৌ রায় সহ অন্যান্যরাও। জয়ের বিষয়ে ‘আত্মবিশ্বাসী’ বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায়ও। সোমবার রাতে ‘নমিনেশন’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে শুভজিৎ জানিয়েছেন, ‘শুভক্ষণ’ মেনেই বুধবার (২৩ অক্টোবর) তিনি মনোনয়ন জমা করবেন। কোন সময়ে? সেটা অবশ্য এখনও ঠিক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন শুভজিৎ। বিজেপি প্রার্থী বলেন, “সেটা একটু পরামর্শ করে নিই।” ভরসা কি তবে বেণীমাধব শীলের ফুলপঞ্জিকা নাকি বিশ্বস্ত কোন জ্যোতিষী? তা অবশ্য গোপনই রেখেছেন সুজয়-শুভজিৎ দু’জনই!