দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১০ জুলাই: আজ, সোমবার রাজ্যের ৬৯৬-টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে চলছে পুনর্নির্বাচন। সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া পুনর্নির্বাচন ঘিরে বড় কোন অশান্তির খবর নেই। যদিও, মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে উত্তেজনা। উল্লেখ্য যে, সবথেকে বেশি ১৭৫টি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। এছাড়াও, মালদাতে ১১২টি এবং নদীয়া জেলায় ৮৯টি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন। পশ্চিম মেদিনীপুরে ১০টি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ৩১টি বুথে আজ উৎসবের মেজাজে চলছে ভোট। তবে, কল্যাণী, বাসন্তী সহ রাজ্যের বিভিন্ন বুথে বিরোধী এজেন্ট কিংবা ভোটারদের উৎসাহ বা উপস্থিতি তেমনভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশকেও বিরোধী এজেন্ট এবং ভোটারদের ডেকে নিয়ে আসতে হয়েছে! এক্ষেত্রে, শনিবারের ‘আতঙ্ক’ এখনো তাঁদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার- ১৩১ কাষ্ঠগুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় (গড়বেতা-১); ৭১ কাঠালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় (নারায়ণগড়); ২৬১ গুড়দলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুম নম্বর ২ (নারায়ণগড়); ২৬২ শীতাংশু বালিকা বিদ্যাপীঠ (নারায়ণগড়); ৪ নারগোদা প্রাথমিক বিদ্যালয় (মোহনপুর); ৫৫ রামপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুম নম্বর ১ (মোহনপুর); রামপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুম নম্বর ২ (মোহনপুর); ৯৫ উদয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয় (মেদিনীপুর সদর); ৫১ কানাইসোল প্রাথমিক বিদ্যালয় (সবং) এবং ১০৪ আন্দুলিয়া ব্রহ্মচণ্ডী বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় (সবং)- তে নির্বিঘ্নে চলছে পুনর্নির্বাচন। ১০টি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী কিংবা ভিন রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কড়া নজরদারি আছে রাজ্য পুলিশেরও। ছোটখাটো কিছু উত্তেজনা বা অশান্তি ছাড়া এখনো পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই মেদিনীপুর সদর, নারায়ণগড়, গড়বেতা, সবং সহ ১০টি বুথেই ভোট দান করছেন সাধারণ মানুষ। দুপুর একটা পর্যন্ত প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মোহনপুর ব্লকের নারগোদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা বারোটা পর্যন্ত ২৩০টি (প্রায় ৫০ শতাংশ) ভোট পড়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। তবে, তারপর আর ভোটারদের তেমন দেখা নেই। বিভিন্ন দলের এজেন্টরা জানান, ভোটারদের খবর দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে, পুনর্নির্বাচন ঘিরে কোথাও উৎসবের মেজাজ আবার কোথাও শুনশান পরিস্থিতি! তবে, সাধারণ মানুষ বা ভোটাররা অন্তত এটুকু বুঝিয়ে দিতে চাইছেন, নির্বাচন ঘিরে অশান্তি বা মারামারি-হানাহানি তাঁদের একবারেই পছন্দ নয়। তাঁদের দাবি, “অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও রক্তপাতহীন নির্বাচন হোক!”