দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ জানুয়ারি: গত পৌরসভা নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সমস্ত পৌরসভা মিলিয়ে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী (বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, তাঁদের সকলকেই ভোট পর্বে সর্বোচ্চ খরচের পরিমাণ বেঁধে দেয় নির্বাচন কমিশন এবং সেই অনুযায়ী তাঁরা খরচ করেছেন কিনা, সেই হিসেব (Election Expense) পাঠাতে হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। এক্ষেত্রে, ২০১৩ (মেদিনীপুর পৌরসভা) ও ২০১৫ (জেলার বাকি সমস্ত পৌরসভা)- এর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৪৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ২৭ জন তাঁদের খরচের হিসেবে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শতাংশের হিসেবে ৯৫ শতাংশের বেশি প্রার্থী নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেছেন! এই মর্মে ১১ জানুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক ড. রশ্মি কমলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকায় জেলার সমস্ত রাজনৈতিক দলের তাবড় প্রার্থীরাও আছেন, যাঁরা এই ভুল করেছিলেন! তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ১৭ জানুয়ারির (২০২২) মধ্যে সেই হিসেব যেন পাঠিয়ে দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে। নাহলে, ওই সমস্ত প্রার্থীরা এবারের নির্বাচনে (২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২) আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না! বিভিন্ন পৌরসভা ও রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই কাজ ইতিমধ্যে তাঁরা করেছেন। প্রসঙ্গত, তালিকা অনুযায়ী যে ২৭ জন প্রার্থী খরচের হিসেব দিয়েছেন, তাঁরা সকলেই মেদিনীপুর পৌরসভার প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচন কমিশনের তালিকা অনুযায়ী, বাকি খড়্গপুর, ঘাটাল, ক্ষীরপাই, খড়ার, রামজীবনপুর, চন্দ্রকোনা- প্রভৃতি পৌরসভার কোনো প্রার্থীই খরচের হিসেব জমা দেননি!
এ নিয়ে, বৃহস্পতিবার জাতীয় কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁদের সমস্ত প্রার্থীই খরচের হিসেব জমা দিয়েছিলেন। এটা মুখ্যমন্ত্রীর অঙ্গুলিহেলনে, নির্বাচন কমিশনে ষড়যন্ত্র করেছে! তাঁর মতে, “আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে যাতে জাতীয় কংগ্রেস সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ভোটে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে না পারেন, তার জন্য শাসকদল নির্বাচন কমিশনের দ্বারা কংগ্রেসকে হয়রানি করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একমাত্র মেদিনীপুর পৌরসভার ১১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৭ জন ইলেকশন এক্সপেন্স একাউন্ট জমা দিয়েছে, ৮৭ জন জমা দেননি। যে ২৭ জন প্রার্থী ভোটের খরচের হিসেব বা Election Expense জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। যেমন, শম্ভু চ্যাটার্জি, সৌমেন খান (বর্তমানে, অবশ্য তৃণমূলে এবং মেদিনীপুর পৌরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপারসন) প্রমুখ। তবে, সমীরের দাবি, “খড়্গপুর, ঘাটাল, রামজীবনপুর পৌরসভার কংগ্রেস প্রার্থীরাও যে তাঁদের ইলেকশন এক্সপেন্স একাউন্ট জমা দিয়েছেন, তার নথি আমাদের কাছে রয়েছে। অথচ নির্বাচন কমিশনের নোটিশে বলা হচ্ছে কেউ জমা দেননি। আসলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী শুন্য করার জন্য যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, তারই ফল স্বরুপ নির্বাচন কমিশনের এই চিঠি।” তবে, এর তীব্র বিরোধিতা করে মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, “নির্বাচন কমিশন তার কাজ করেছে। নিয়ম অনুযায়ী অবশ্যই খরচের হিসেব দেওয়া উচিত ছিল। তবে, যেকোনো কারণেই হোক সেই ভুল হয়েছে। আর, সেই তালিকায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরাও আছেন। একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ হয়েও জেলা কংগ্রেস সভাপতির এই শিশুসুলভ কথাবার্তা শুধুমাত্র পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে বলেই! তাঁরা জানেন, মেদিনীপুর, খড়্গপুর সহ কোথাও তাঁরা একটি আসনও এবার জিততে পারবেন না। তাই, মুখ্যমন্ত্রীর নাম এইসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার, সেজন্যই সকল রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নামই তালিকায় আছে। তবে, আমাদের দলের প্রার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (১৭ জানুয়ারি) তা পাঠিয়ে দিয়েছেন।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ এপ্রিল: "আমরা এখনও ধোঁয়াশার মধ্যে আছি। ওঁরা তো…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ এপ্রিল: গত ৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিল: বছরভর নানা রূপে দেখা যায় পুলিশকে। কখনও…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিল: "তাকিয়ে আছি সুপ্রিম কোর্টের ১৭ এপ্রিলের শুনানির…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ এপ্রিল: একসঙ্গে দু-দুটি বিরল রোগ! দু-তিন বছর আগে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ এপ্রিল: দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর প্রাথমিকে প্রধান…