দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ২৯ মে:শেষ দফার নির্বাচন ১ জুন। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় (৬টায়) শেষ হচ্ছে প্রচার। আর, প্রচার পর্ব শেষ হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রকে ধ্যানে বসবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা প্রধানমন্ত্রী ধ্যান করবেন বলেও এখনও অবধি জানা গিয়েছে। আর তা নিয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বুধবার কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন। দিয়েছেন হুঁশিয়ারিও! এনেছেন আদর্শ আচরণবিধি (Model Code of Conduct) ভাঙার অভিযোগও। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “লোকে যখন পুজো করে, ছবি তুলতে হয়? নাকি সমুদ্রের হাওয়া খেয়ে অক্সিজেন নেবেন, আর ৪৮ ঘণ্টা প্রচার চালাবেন? উনি ধ্যান করবেন করুন, কিন্তু টিভিতে দেখাতে পারবে না। কারণ, সেটা আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ করবে। ১ তারিখে ভোট আছে৷ ৩০ তারিখ সন্ধ্যা ৬-টার পরে আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ জানাব৷”

thebengalpost.net
প্রধানমন্ত্রীর রোড-শো :

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শেষ করার পরেও কেদারনাথের গুহায় ধ্যানে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ অন্যদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর কলকাতার যে এলাকায় (শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি) বিপুল জনস্রোতে ভেসে গিয়ে এক ‘ঐতিহাসিক’ রোড-শো করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বুধবার বিকেলে পাল্টা সেখানেই এক সুবিশাল পদযাত্রায় পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজি মূর্তির পাদদেশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, “গতকাল প্রধানমন্ত্রী র‌্যালিতে বাইরে থেকে লোক আনতে হয়েছিল। হাওড়া, হুগলি থেকে বিহার-ঝাড়খন্ড থেকে লোক এসেছিল! আমাদের ওসব দরকার নেই। বাংলার লোকেরাই যথেষ্ট! এই শ্যামবাজারের মানুষই যথেষ্ট।”

এদিকে, বিষ্ণুপুর থেকে কাঁথি, হুগলি থেকে মেদিনীপুর- দিকে দিকে স্ট্রং রুমের নিরাপত্তা নিয়ে অভিযোগ তোলা শুরু করেছেন দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন প্রার্থী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবার অভিযোগকারীদের তালিকায় বিজেপির প্রার্থীরাই বেশি! বিষ্ণুপুরের বিদায়ী সাংসদ সৌমিত্র খাঁ থেকে হুগলির লকেট চট্টোপাধ্যায়-রা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইভিএম বদলানো বা ইভিএম কারচুপি করতে পারে আই-প্যাক (তৃণমূলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ভোট-কুশলী সংস্থা)! আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মেদিনীপুর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালও। অন্যদিকে, কাঁথির ক্ষেত্রে আবার অভিযোগের তীর বিজেপি-র দিকে। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ সৌমেন্দু অধিকারীর লোকজন স্ট্রং রুমে লোক ঢোকাতে চেয়েছিলেন। সবমিলিয়ে প্রার্থীদের এই আশঙ্কা বা স্নায়ুর চাপ নিতে না পারার উপসর্গই বলে দিচ্ছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই-ই হয়েছে দুই ‘ফুল’ এর মধ্যে!

thebengalpost.net
মমতার পদযাত্রা :