দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ ফেব্রুয়ারি: “২০১৯ এর বিধানসভা উপনির্বাচনে আমাকে দিয়ে অপকর্ম করিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাট্টা দেওয়ার ঘোষণা করানো হয়েছিল আমাকে দিয়ে। একজনকেও পাট্টা দেওয়া হয়নি। প্রদীপ সরকারকে জেতানোর জন্য মিথ্যে কথা বলানো হয়েছিল, সেজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী!” মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, খড়্গপুর পৌরসভা নির্বাচনে ৩৩ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের প্রচারে এসে এভাবেই বোমা ফাটালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল প্রার্থী জহর পাল সম্পর্কে বলেন, “যিনি ক্যান্ডিডেট, আমি তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করব না। অনেক হয়ে গেছে, এবার ওনার অবসর নেওয়ার সময় এসে গেছে। রাজনীতি থেকে অবসর ওনাকে নিতেই হবে। তার কারণ হলো, একটার পর একটা বেআইনি কাজ। দাদাগিরি আর দুর্নীতির জন্য এই ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের সার্বিক উন্নয়ন হয়নি।” উল্লেখ্য যে, এই জহর পাল-ই অন্যতম শুভেন্দু অনুগামী হিসেবে জেলার রাজনীতিতে পরিচিত ছিলেন! বিভিন্ন কারণে শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবারের প্রতি বার বার জহর পাল-ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু, বিধানসভা নির্বাচনের আগে, দাদার অনুগামী হিসেবে পরিচিত অনেকেই বিজেপিতে গেলেও জহর যাননি!

thebengalpost.net
মেদিনীপুরে শুভেন্দু :

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন) :

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন) :

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী প্রচার) :

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন) :

তবে, ২০১৯ এর বিধানসভা উপ নির্বাচনে প্রদীপ সরকারের জয়ের প্রধান কান্ডারী শুভেন্দু অধিকারীর সব থেকে বড় বিস্ফোরণ ছিল, “প্রদীপ সরকারের উপ নির্বাচনের আগে নবান্ন থেকে ফোন এলো! বললেন তুমি ডিএম-কে নিয়ে গিয়ে পৌরসভার সামনে কয়েকটা পাট্টা তুলে দাও। সেখানের ভোটগুলো নিতে হবে। ক্ষমা চাইছি! আমার হাত দিয়ে অপকর্ম করিয়েছেন পিসিমণি।” এদিকে, আনিস হত্যা নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এ নিয়ে বিশেষ কিছু মন্তব্য করব না। তবে, এই হত্যাকাণ্ডের সিবিআই তদন্ত চাই। আনিসের পরিবারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা হিসেবে সর্বতোভাবে তাদের পরিবারের পাশে আছি এবং থাকব।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেদিনীপুর পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে, মেদিনীপুর পৌরসভার একাধিক প্রার্থী’র হয়েও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সভা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে অবশ্য পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী-কে আক্রমণ করতে ছাড়েননি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, “সবাই জানে চোরের মায়ের বড় গলা হয়! লোডশেডিং করিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে বিধায়ক হয়েছেন। তাঁর মুখে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম মানায় না। বাজার গরম করতে এসেছিলেন, মানুষের সমর্থন নেই!”

thebengalpost.net
Advertisement (বিজ্ঞাপন) :

thebengalpost.net
Advertisement (বিজ্ঞাপন) :

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন) :

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন):