দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ ফেব্রুয়ারি: আইপ্যাকের নিখুঁত গেমপ্ল্যান নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন? পিকে’র প্রচার কৌশল নাকি জননেত্রীর জনপ্রিয়তা? পেশাদার কর্মীদের গোপন সমীক্ষা নাকি দিদির সৈনিকদের মাঠেঘাটের লড়াই? ২০২১ এর বিধানসভার পর এ যেন এক নতুন অগ্নিপরীক্ষা তৃণমূল কংগ্রেসের। ‘ভাড়াটে সৈনিক’ (পড়ুন, আইপ্যাক) ছাড়া তাঁর নেতাদের কতখানি ক্ষমতা, কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা, ‘চব্বিশ’ এর লড়াইয়ের আগে পরখ করে নিতে চান স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই, বিভিন্ন বর্ষীয়ান নেতাদের দাবি পরোক্ষে মেনে নিয়েছেন তিনি। আইপ্যাকের (I-PAC) সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন দলের। অত্যন্ত কাছের এবং প্রিয়পাত্র ‘ভাইপো’ অভিষেকের সঙ্গে এজন্য ‘দূরত্ব’ বাড়লেও, ভ্রুক্ষেপ করেননি! বাংলায় ভবিষ্যতে আইপ্যাকের প্রয়োজন আছে কিনা, আগামী পঞ্চায়েত আর লোকসভা নির্বাচনের আগে তাও দেখে নিতে চান তিনি! তাই, আইপ্যাকের উপর নির্ভর না করে, প্রতিটি জেলার পৌরযুদ্ধের জন্য এক বা একাধিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে দিয়েছেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষেত্রে দুই পর্যবেক্ষক হলেন, ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও সবংয়ের বিধায়ক মানস রঞ্জন ভূঁইয়া এবং পিংলার বিধায়ক ও জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি। রবিবার বিকেলে জেলা পরিষদের সভাগৃহে, জেলার সমস্ত বিধায়ক, মন্ত্রী, দুই সাংগঠনিক জেলার (মেদিনীপুর ও ঘাটাল) সভাপতি ও শহর সভাপতিদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরে নিলেন তাঁরা! সাতটি পুরসভার দখলে কতখানি প্রস্তুত দল, কোথায় খামতি, কোথায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব- সব কিছু বুঝে নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করলেন অজিত-মানসরা।

thebengalpost.net
প্রচারে জুন মালিয়া :

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন) :

ভোটের মাত্র ১৪ দিন আগে, জেলা তৃণমূলের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলে একঘন্টারও বেশি সময় ধরে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কে কিভাবে এতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন, আগামী কয়েকদিন কিভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, তা নিয়েই হয় আলোচনা! আলোচনা নাকি জমে উঠেছিল নির্দল আর গোঁজ প্রার্থীকে কেন্দ্র করে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দলকে বিপাকে ফেলতে যাঁরা দলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন, তাঁদের প্রথমে সাবধান করা হবে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। প্রসঙ্গত, খড়্গপুর ও মেদিনীপুর পৌরসভার ক্ষেত্রে দু’একজনের ক্ষেত্রে এরকম সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে! তাঁদের গতিবিধি বোঝার চেষ্টা করছে দল এবং তাঁদের শাস্তি অনিবার্য বলেই জানা গেছে জেলা তৃণমূল সূত্রে। এদিনের বৈঠক শেষে জেলা নেতৃত্বের একটি সূত্র জানিয়েছে, “আইপ্যাক কি করছে তা জানা নেই। সাতটি পৌরসভায় দলকে বিপুল আসনে জেতানোর জন্য আমরা অল আউট ঝাঁপাচ্ছি।”

thebengalpost.net
যোগদান মেদিনীপুরে :

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন) :

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন):

এদিকে, নির্বাচনে জেতার লক্ষ্যে সাতটি পুরসভাতেই পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে তৃণমূল। খড়গপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চার বিধায়ক ও এক প্রাক্তন বিধায়ককে। বাকি পুরসভাগুলিতেও দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে দলের পদাধিকারীদের। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত তাঁরা দলকে জেতানোর জন্য কি কি করেছেন, সেই হিসাব চাওয়া হয়। সূত্রের খবর, দু’একজন ছাড়া বাকিদের কাজে সন্তুষ্ট দল। অন্যদিকে, যে সমস্ত ওয়ার্ডে তৃণমূল তুলনামূলকভাবে দুর্বল, সেইসব ওয়ার্ডগুলিতে আরও বেশি করে জোর দেওয়া হচ্ছে। এদিন দলের বিধায়ক ও পাদাধিকারীদের বিভিন্ন গ্রূপে ভাগ করে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাতটি পুরসভায় মোট ১২০-টি ওয়ার্ড রয়েছে। প্রচার চলবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সেই মোতাবেক কবে কোন ওয়ার্ডে কোন কোন তারকাকে এনে প্রচার হবে, তার একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়। রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দলের যে সমস্ত তারকারা আছেন, তাঁদেরকে শীঘ্রই প্রচারে আনা হবে বলে সূত্রের খবর। করোনা পরিস্থিতির জন্য বড় জনসভা না করার জন্য যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা বহাল থাকছে। ছোটো ছোটো সভা ও র‍্যালি করার সাথে সাথেই, প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রচারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

thebengalpost.net
যোগদান খড়্গপুরে :

thebengalpost.net
Advertisement (নির্বাচনী বিজ্ঞাপন) :

thebengalpost.net
Advertisement (বিজ্ঞাপন):