দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ ফেব্রুয়ারি: বরফ কি তবে গললো? ঘুচলো মান-অভিমান? মেদিনীপুর শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পান্ডবের প্রচারে বিধায়ক জুন মালিয়া। আবেদন জানালেন, “আপনারা বিপুল ভোটে জয়ী করুন বিশুদা-কে। আমি জানি, ২৭ ফেব্রুয়ারি আপনারা বিশুদাকেই ভোট দেবেন। মেদিনীপুর পৌরসভার ২৫-টি ওয়ার্ডই আপনারা তুলে দেবেন আমাদের দিদি’র হাতে!” বিভেদ ভুলে মৈত্রী’র এই ছবি দেখা গেল মেদিনীপুর পৌরসভার ১৯ নং ওয়ার্ডে। শুক্রবার প্রচারের এক্কেবারে শেষ দিনের এই ছবি তৃণমূল কর্মী সমর্থকদেরও উজ্জীবিত করলো।

thebengalpost.net
মেদিনীপুরে জুন-বিশ্বনাথ :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি জেলা শহর মেদিনীপুরে অনুষ্ঠিত শহর তৃণমূল আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-কে ঘিরে ‘ঠান্ডা লড়াই’ এর কথা শোনা গিয়েছিল বিধায়ক জুন মালিয়ার সাথে শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পান্ডবের! যদিও, মুখে কেউ কিছু বলেননি। তবে, তারপর থেকেই তৈরি হয়েছিল দূরত্ব! মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে শুরু করে প্রচারের প্রথম দিন থেকে সেই বিভাজন যেন আরও স্পষ্ট উপলব্ধি করতে পারছিলেন আপামর তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা! নানা জল্পনা চলছিল শহরের মধ্যে। কারণ, বিধায়ক হওয়ার আগে এবং তারপরেও যে ‘বিশু দা’ বলতে অজ্ঞান ছিলেন জুন, ইদানিং তাঁকেই যেন কিছুটা এড়িয়ে চলছিলেন জুন। তবে, সংবাদমাধ্যমের কাছে অবশ্য মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া এসবকিছুকে ‘অপপ্রচার’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। আর, ১৯ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পান্ডব এনিয়ে মুখ না খুললেও, তাঁর ছেলে তথা শহরের যুব নেতা প্রসেনজিৎ পান্ডব শুক্রবার জানিয়েছেন, “কোনোকালেই দূরত্ব ছিল না! এসব মিডিয়ার অপপ্রচার।” তবে, যাই হোক, প্রচারের শেষ দিনের এই মিলনের ছবি যেন শাসকদলের সমর্থকদের বেশ আশ্বস্ত করল।

thebengalpost.net
বিশ্বনাথের প্রচারে কৌশানি :

অন্যদিকে, খড়্গপুর শহরে শেষ লগ্নের প্রচারে ঝড় তুলতে সাতসকালেই পৌঁছে গেছেন জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। সভা, র‍্যালি, রোড শো চলছে জোর কদমে। এমনিতেই, রেলশহরে প্রথম দিন থেকে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন জেলা সভাপতি। জয় সুনিশ্চিত করতে ৩৫-টি ওয়ার্ডেই নিযুক্ত করেছিলেন ৩৫ জন পর্যবেক্ষক। জেলা সভাপতির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছিলেন জেলা চেয়ারম্যান ও বিধায়ক দীনেন রায়, বিধায়ক সূর্য অট্ট, বিধায়ক উত্তরা সিংহ হাজরা, বিধায়ক পরেশ মুর্মু, প্রাক্তন বিধায়ক ও রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোৎ ঘোষ প্রমুখরা। অন্যদিকে, খড়্গপুরে গড় রক্ষা করতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ-ও জোর কদমে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় অবশ্য নিজের ৩৩ নং ওয়ার্ড নিয়েই ব্যস্ত! তবে কি খড়্গপুরের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই? তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানালেন, “দিলীপ বাবু যত প্রচার করবেন, তৃণমূলের ভোট তত বাড়বে! আগেও ওনার উপস্থিতিতে যোগদান করিয়ে আমরা তা দেখিয়ে দিয়েছি। উনি এখনও বিধায়কের সঙ্গেই দূরত্ব ঘোচাতে পারলেন না, আর প্রার্থীদের কি করে জেতাবেন! ঐক্যবদ্ধ তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন এর উপর ভর করে খড়্গপুরের ৩৫-টি এবং মেদিনীপুরের ২৫-টি ওয়ার্ডেই বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।”

thebengalpost.net
প্রচারে জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা :