দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ ফেব্রুয়ারি: খড়্গপুর পৌরসভার ৩৩ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বর্ষীয়ান নেতা জহর পাল। আর, ৩৫ নং ওয়ার্ডে ‘নির্দল’ প্রার্থী তাঁর বৌমা জয়া পাল! সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী কবিতা দেবনাথ। প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য, দলের তরফে চরম হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল জহর বাবুকে! শোনেনি তাঁর পরিবার। গতকাল ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। হেলদোল দেখা যায়নি, জহর পাল বা তাঁর পরিবারের তরফে। তাই ৩৫ নং ওয়ার্ডের ‘গোঁজ’ প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসেরই ভোট কাটতে চলছেন জয়া পাল। বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি জেলা ও রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে, এ নিয়ে ভোটের মাত্র কয়েক দিন আগে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে চাননি কেউই। যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, “৩৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কবিতা দেবনাথ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনোনীত প্রার্থী উনি। এটাই শেষ কথা। দলের আপামর কর্মী-সমর্থকরা ইতিমধ্যে তাঁর হয়ে প্রচারে নেমে পড়েছে।” একই বক্তব্য জেলা যুব সভাপতি সন্দীপ সিংহেরও। তবে, এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি খড়্গপুরের বিধায়ক তথা ৩৩ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়। তিনি মন্তব্য করেছেন, “তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছেন জহর বাবু। বোঝাই যাচ্ছে পরিবারতন্ত্র উপেক্ষা করা সম্ভব নয় তৃণমূলের পক্ষে। নিজে ৩৩ নং ওয়ার্ডে হারবেন জেনেই বৌমাকে ৩৫ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী করেছেন জহর বাবু।” তবে, এনিয়ে জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, “দু’টি ওয়ার্ডেই নিশ্চিতভাবেই জিতবে তৃণমূল। বিজেপি তো নিজেদের মধ্যে মারপিট করতেই ব্যস্ত। গতকাল হিরণকে দলের বৈঠকে ডাকাই হয়নি। ওঁর কথার প্রতিক্রিয়া দেওয়ার মানেই হয়না!”
এদিকে, মেদিনীপুর পৌরসভার ২৫ টি ওয়ার্ডে শেষমেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন মোট ১০৯ জন প্রার্থী। গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে, সমস্ত চাপ উপেক্ষা করেই প্রার্থী হিসেবে থেকে গেছেন অর্পিতা রায় নায়েক, সৈয়দ এরশাদ আলি, অনয় মাইতি সহ বেশিরভাগ নির্দলরা! তবে, সবথেকে বড় চমক হল। ১৮ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী মনোরঞ্জন সিনহা, প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে, সরাসরি তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন! বিধায়ক জুন মালিয়া তাঁর হাতে পতাকা তুলে দিয়েছেন। এনিয়ে, জেলা কংগ্রেস সভাপতি সমীর রায় মন্তব্য করেছেন, “ওঁর উপরই দায়িত্ব ছিল ১৮ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সৌমেন খান-কে হারানোর। কিন্তু, তিনি যে এত বড় বিশ্বাসঘাতক তা আমরা বুঝতে পারিনি। এক বেইমান এর হাত ধরে আরো বড় বেইমান তৃণমূলে গেছে। ভালোই হয়েছে আপদ বিদায় হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে আমরা তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী অন্য প্রার্থীকে সমর্থন জানাব। আমি নিজে গিয়ে ওই ওয়ার্ডের কংগ্রেস কর্মীদের সাথে কথা বলবো। প্রয়োজনে ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার করব।” এদিকে, মেদিনীপুর পৌরসভার প্রচারে গতকালের পর আজও মেজাজে আছেন তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া। তিনি ঘোষণা করেছেন, “মেদিনীপুর পৌরসভার ২৫ টি ওয়ার্ডেই জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস।” অন্যদিকে, খড়্গপুর পৌরসভায় এখনও বিজেপির ঘর ভাঙ্গার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার হাত ধরে গতকালই শতাধিক বিজেপি যুবকর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছেন।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ নভেম্বর: আইআইটি (IIT)-র মতো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে অভাব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…