দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ ফেব্রুয়ারি: সম্পর্কে তাঁরা মামা-ভাগ্নে। তাতে অবশ্য দু’জনেরই কিছু এসে যায়না। ‘ভোটযুদ্ধ’-কে ‘ধর্মযুদ্ধ’ ভেবেই লড়াইয়ে নেমেছেন পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে! লড়াইটা কংস মামা আর শ্রীকৃষ্ণের মতো সরাসরি অধর্মের বিরুদ্ধে ধর্ম রক্ষার লড়াই না হলেও; এখানেও মামা ও ভাগ্নে পরস্পর সম্পর্কের নৈকট্য ভুলে, নীতি-আদর্শের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন। আর, সেই লড়াইয়ের ‘ফলাফল’ কি হয়, তা দেখার জন্য মুখিয়ে আছে গোটা রেলশহর। রেলশহর খড়্গপুরের ৩ নং ওয়ার্ডেই হচ্ছে এবার এমন জমজমাট লড়াই! একদিকে, গত দু’বারের বিদায়ী কাউন্সিলর তথা জোড়া ফুলের প্রার্থী তৈমুর আলি খান। অন্যদিকে, তরুণ কংগ্রেস প্রার্থী তথা তৈমুরের ভাগ্নে খুরসেদ আলি খান। তবে, বিজেপি প্রার্থী গৌতম দাস-ও এই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তা হলেও, মামা-ভাগ্নের লড়াই-ই যেন এই ওয়ার্ডের অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় হয়ে উঠেছে।
মামা তৈমুরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হয়ে নীতি-আদর্শের কথা শোনালেন ভাগ্নে খুরসেদ! তাঁর বক্তব্য, “আমি মামার বিরুদ্ধে নয়, প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করছি!” তাঁর আরও বক্তব্য, গত ১৫ বছর ধরে ওই পরিবারের স্বামী ও স্ত্রী অর্থাৎ তাঁর মামা ও মামিমা কাউন্সিলর থাকলেও, এলাকার কোনো উন্নয়ন হয়নি। বরং দুর্নীতি হয়েছে। অভিযোগ, “যাদের দোতলা বাড়ি আছে, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছেন। যারা ত্রিপল খাটিয়ে আছে, তাঁরা বাড়ি পায়নি। রাস্তাঘাট, নিকাশির সমস্যা, সবেতেই দুর্নীতি। তাই ওই ওয়ার্ডের মানুষ এবার পরিবর্তন চাইছেন।” অন্যদিকে, মামা তৈমুর শান্ত ভাবেই জানালেন, “আবার মা মাটি মানুষের সরকারের বোর্ড হবে। আমরা এখান থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হব। যে কোন মানুষ বিরুদ্ধে নামতে পারে। ওর সখ হয়েছে তাই নেমেছে। ও কোন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। মানুষ ওকে চেনে না, জানে না। কিছু মানুষ ওকে জোর করে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এই ব্যাপারে আমার সাথে ওর কোন কথাও হয়নি। রাজনৈতিক ময়দানে নেমেছে, আমি তাকে বাধাও দিইনি। এটা কোন বিষয়ই নয়। এখানে একতরফা ভোট হবে। বিপুল ভোটে আমি জিতব।”
অন্যদিকে, এলাকাবাসী আলেদা বিবি বলেন, “প্রতিটা দলের মানুষ-ই বাড়িতে আসছে। বলছে আমাদের ভোট দিন, জেতান, আমরা আপনাদের জন্য কাজ করব। এত বছর ধরে এই ওয়ার্ডে তৈমুর আলি খান ছিলেন। পানীয় জলের সমস্যা আছে। জল নিকাশির ব্যবস্থা নেই। ঘরের সমস্যা আছে।” আরেকজন, কালাম আহমেদ বলেন, “মামা ভাগ্নে ভাইপো যেই আসুক, আমরা ওসব জেনে কি করব! আমরা তো পরিবার দেখে ভোট দেবনা। সারা বছর যে আমাদের সঙ্গে থাকবে, উন্নয়ন করবে, তাকেই ভোট দেব।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…