দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩১ ডিসেম্বর: “বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষার প্রথম যথার্থ শিল্পী ছিলেন।” রবি ঠাকুর শুধু এখানেই থামেননি! বাংলার শিক্ষা ও সমাজ জগতের ‘ঈশ্বর’ সম্পর্কে তাঁর অভিমত, “বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যভাষার উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে সুবিভক্ত, সুবিন্যস্ত, সুপরিচ্ছন্ন ও সুসংহত করিয়া তাহাকে সহজ গতি ও কর্মকুশলতা দান করিয়াছিলেন।” বাংলা গদ্যের সেই সার্থক শিল্পী ও স্রষ্টা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচিত হল জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর মাঝিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। বিদ্যালয়ে প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী বা ৭৫-তম বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচিত হয় রবিবার দুপুরে। বিদ্যালয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শালবনীর সাহা পরিবারের পুতুল সাহা, শান্তনু সাহা, অতনু সাহা, সুতনু সাহা প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, রবিবার সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে ‘প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী’ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। নানা আকর্ষণীয় ট্যাবলো সহযোগে অংশগ্রহণ করেন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, প্রাক্তনী, এলাকাবাসী সহ প্রায় হাজার খানেক মানুষ। এরপর, দিনভর নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সম্মান জানানো হয় প্রাক্তনী সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রেতা, সুরক্ষা ও সমবায় দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত, BDO রোমান মণ্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ, শালবনী সদর উত্তর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সৌভিক জানা, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শক্তি রানী পাল, স্থানীয় সমাজকর্মী নুতন ঘোষ প্রমুখ। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রুমা বিষই (মন্ডল), সৌমেন হালদার, শতাব্দী সামন্ত, সৌমিতা রায়, জুই ব্যানার্জী বলেন, “বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, প্রাক্তনী, অভিভাবক-অভিভাবিকা ও এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠান সাফল্যমন্ডিত হয়েছে।”