দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ জুন:রাজ্য সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে গত ২৪ জুন (শুক্রবার) জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান (DPSC) কৃষ্ণেন্দু বিষই-কে ওইদিনই তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে (Terminate the tenure of Service)। একইসঙ্গে, জরুরি ভিত্তিতে (Immediately) ডি.আই বা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক)-কে দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, কোচবিহার জেলার ক্ষেত্রেও চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন মন্ত্রী হিতেন বর্মন-কে সরানো হয়েছে তাঁর পদ থেকে। স্বভাবতই, তড়িঘড়ি এই ‘অপসারণ’ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কারণ, এই মুহূর্তে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে চরম চাপে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। চলছে সিবিআই তদন্ত।

thebengalpost.net
বিজ্ঞপ্তি:

এদিকে, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬’টা নাগাদ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কৃষ্ণেন্দু বিষই জানিয়েছিলেন, ” চেয়ারম্যান ডিপিএসসি নিজেকে সরিয়ে নিলাম এবং রেজিগনেশন দিলাম।” পরবর্তী সময়ে অবশ্য তিনি বিভাগীয় সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করেছিলেন। ডিআই (প্রাথমিক) তরুণ সরকার-ও এই নির্দেশিকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। এদিকে, আজ, সোমবার (২৭ জুন), মেদিনীপুর শহরের জেলা সংসদ কার্যালয়ে আসেননি কৃষ্ণেন্দু বাবু। তাই, চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে চার্জ বা দায়িত্ব নিতে পারেননি বিদ্যালয় পরিদর্শক তরুণ সরকার। এনিয়ে তিনি ফোনে জানিয়েছেন, “ইমিডিয়েট দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আজ উনি আসেননি।” এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, যে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাতে কোচবিহার জেলা থেকে অনেকে থাকলেও, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কেউ ছিলেন না! তবে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই মুহূর্তে ‘ব্যাকফুটে’। সেজন্যই কি তাঁর ঘনিষ্ঠ কৃষ্ণেন্দু বিষই- এর পদে কোপ পড়ল? উঠছে নানা প্রশ্ন!

thebengalpost.net
কৃষ্ণেন্দু বিষই:

thebengalpost.net
তরুণ সরকার: