দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৩১ মে: অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy 2020) মেনে পশ্চিমবঙ্গেও চলতি শিক্ষাবর্ষ (২০২৩-‘২৪) থেকেই চালু হচ্ছে চার বছরের সাম্মানিক স্নাতক (অনার্স গ্র্যাজুয়েট) কোর্স। এবার থেকে আর তিন (3 Years Bachelor Degree) বছর পড়াশোনা করে অনার্স ডিগ্রি লাভ করা যাবেনা, চার বছর (4 Years Honours Degree Course) পড়াশোনা করতে হবে। তবে, ৩ বছর পড়াশোনা করলে সাধারণ বিএ/বিএসসি/বিকম (BA/B.Sc/B.Com) ডিগ্রি লাভ করা যাবে। এই বিষয়ে, বুধবার উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ২০২৩-‘২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যের সরকারি, সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চার বছরের স্নাতক (সাম্মানিক স্নাতক) পাঠক্রম চালু হয়ে যাবে। যেখানে পড়ুয়ারা গবেষণার সুযোগও পাবেন।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের সুবিধার কথা ভেবেই স্নাতক স্তরে চার বছরের পাঠক্রম চালু করছে রাজ্য। তাঁর কথায়, “রাজ্যের প্রায় ৭ লক্ষ ছাত্রছাত্রী, যাঁরা এই বছর স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে চলেছেন, তাঁদের সুবিধার কথা ভেবে আমরা ৪ বছরের পঠনপাঠন চালু করতে চলেছি। এতে তাঁদের সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে এবং একই সঙ্গে রাজ্যের বাইরে পড়তে চলে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।” তবে, জাতীয় শিক্ষানীতি যে পুরোপুরি তাঁরা (পশ্চিমবঙ্গ সরকার) মেনে নিচ্ছেন না; তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পাশাপাশি, এবার কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু হয়েছে। রাজ্যের সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ও জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে চার বছরের সাম্মানিক স্নাতক পাঠক্রম চালু করেছে। বাকি রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতেও চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু করা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কী ভাবে কার্যকর করা হতে পারে, তা নিয়ে সেই কমিটি মত দেবে। সেই মতো কমিটি গঠন করে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। ৬ সদস্যের এই কমিটির প্রধান করা হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে। স্থির হয়, কমিটি রিপোর্ট দিলে তার ভিত্তিতে চার বছরের পাঠক্রম নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, কমিটি চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালুর পক্ষেই মত দিয়েছে। তারপরই, বুধবার উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হলো রাজ্যের প্রায় ৭ লক্ষ পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে, যাঁরা আর ক’দিন পরেই রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করবেন। এই বিষয়ে, বুধবার দুপুরে বেঙ্গল পোস্টের তরফে মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস)- এর প্রিন্সিপাল গোপাল চন্দ্র বেরা’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যে চার বছরের স্নাতক (সাম্মানিক) কোর্স পড়ানো হবে বলে জানতে পেরেছি। যেখানে শেষ বছরে পড়ুয়ারা গবেষণার সুযোগ পাবেন। তবে, তিন বছর পড়লে সাধারণ BA/B.Sc/B.Com ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন পড়ুয়ারা।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…