thebengalpost.net
সুব্রত ভূঁইয়া:

শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ আগস্ট: উচ্চ মাধ্যমিকে ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়ে, রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের অধীন রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ সেন্টেনারি কলেজে (Ramakrishna Mission Vivekananda Centenary College, Rahara) পদার্থবিদ্যা (Physics) বিষয় নিয়ে ভর্তি হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং- এর মেধাবী সন্তান সুব্রত ভূঁইয়া। ৭৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্নাতক উত্তীর্ণও হয়েছে সে। স্বপ্ন প্রিয় বিষয় নিয়ে মাস্টার্স বা M.Sc করার। তবে, মেধাবী সুব্রত-র স্বপ্ন পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাবার শারীরিক অবস্থা! সম্প্রতি, ক্যান্সার ধরা পড়েছে সুব্রত-র বাবার। তাই, সংসারের সমস্ত দায়ভার এসে পড়েছে সুব্রত-র উপর। বাবা-মা, বিশেষ ভাবে সক্ষম দাদা ছাড়াও বাড়িতে আছেন অসুস্থ ঠাকুমা। এই পরিস্থিতিতে সুব্রত ও তার পরিবার এক ভয়াবহ প্রতিকূলতার সম্মুখীন। তবে কি অচিরেই শেষ হয়ে যাবে সুব্রত-র উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন? এই প্রশ্নটাই এখন ঘোরাঘুরি করছে সবংয়ের রুইনান গ্রামে।

thebengalpost.net
অসহায় পরিবার :

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে সবংয়ের বেনেদীঘি জনকল্যাণ হাই স্কুল থেকে ৯২ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে সুব্রত। তারপর সুযোগ হয় রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের অধীন বিখ্যাত কলেজে (রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ সেন্টেনারি কলেজে)। পরিবারের আর্থিক অনটনের মধ্যেও সেখান থেকে ৭৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে চলতি বছরই B.Sc পাস করে সুব্রত। এরপর, ফিজিক্স (Physics) নিয়ে M.Sc করার স্বপ্ন দেখতে থাকে সুব্রত। কিন্তু, বাধা হয়ে দাঁড়ায় নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস! ৪ মাস আগেই মারণ রোগ (ক্যান্সার) বাসা বাঁধে বাবার শরীরে। চিকিৎসার খরচ অনেক। স্বাস্থ্যসাথীতে ভুবনেশ্বর AIIMS- এ চিকিৎসা হচ্ছেনা! বিনে পয়সায় চিকিৎসার জন্য লাগবে ভারত সরকারের ‘আয়ুষ্মান ভারত’ কার্ড। তা না থাকায় খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে অসহায় পরিবার।

বাড়িতে বাবা-মা, দাদা ও ঠাকুমা-কে নিয়ে সংসার। দাদা আবার প্রতিবন্ধী। ঠাকুমার অনেক বয়স। বাবা-মা’রও বয়স হয়েছে। সুব্রত জানায়, “একসময় সততার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে বাবা সংসার চালিয়েছেন। এখন পুরো সংসারের দায়িত্ব এসে পড়েছে আমার উপর। তাই, M.Sc-র প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাইনি। বাবাকে ওষুধটাও আমাকেই খাইয়ে দিতে হয়। অবসরে কিছু টিউশন শুরু করেছি। ইচ্ছে আছে পরের বছর M.Sc করার।” পরিস্থিতির চাপে নিজের ‘স্বপ্ন’-কে এখন তাই বাস্তবের কাছে বন্ধক দিতে হয়েছে এই মেধাবী পড়ুয়াকে! যদি কোন সহৃদয় ব্যাক্তি বা সংস্থা বা সরকারের তরফে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়, তবেই হয়তো সুব্রত-র ‘স্বপ্ন-দীপ’ ফের জ্বলে উঠতে পারে! সুব্রত ও তার পরিবারের তরফেও সেই আবেদনই জানানো হয়েছে। (সুব্রত এবং তার পরিবারকে সাহায্য করতে চাইলে যোগাযোগ করুন- 8388995948 নম্বরে।)

thebengalpost.net
সুব্রত ভূঁইয়া: