দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১০ জুলাই: রাজ্যে আরও ১০ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করা হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়া অফলাইনে শুরু হয়ে গেছে শুক্রবার (৯ জুলাই) থেকে। র‍্যাঙ্কের বিচারে যারা নিজের জেলাতেই পোস্টিং পেতে চলেছেন তাঁদের কাউন্সেলিং গতকাল থেকে শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে, যাদের নিয়োগ অন্যান্য জেলাতে হবে, সেই প্রক্রিয়া সোমবার (১২ ই জুলাই) থেকে অনলাইন কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে শুরু হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও প্রায় হাজারখানেক শিক্ষক নিযুক্ত হতে চলেছেন। নির্বাচনের আগে কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে ১৩৯ জন ইতিমধ্যে এই জেলায় নিয়োগ পেয়ে গেছেন। আরও প্রায় ৬০০-৭০০ জন শিক্ষকের মধ্যে এই জেলাতেই চাকরি পেতে চলেছেন ১০২ জন। সেই প্রক্রিয়া শুক্রবার শুরু হয়েছে। সেই শিক্ষকদের যাতে সিঙ্গেল টিচার বা ডবল টিচার অর্থাৎ ১ জন বা ২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকা স্কুলেই নিয়োগ দেওয়া হয়, সেই বিষয়ে জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) তথা ভারপ্রাপ্ত সংসদ চেয়ারম্যান’কে স্মারকলিপি প্রদান করা হলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে।

thebengalpost.in
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’কে ডেপুটেশন (ফাইল ছবি) :

উল্লেখ্য যে, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে ১৬ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তা এবার শেষ পর্যায়ে। তবে, সফল শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রত্যেকেই দুর্ভাগ্যজনক ভাবে নিজেদের জেলায় নিয়োগ পাচ্ছেন না শূন্য পদের অভাবে। অনেককেই অন্য জেলার স্কুল বেছে নিতে হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মাত্র ২৪১ টি শূন্যপদ থাকায় ইতিমধ্যে ১৩৯ জন নিয়োগ পেয়ে গেছেন। বাকি ১০২ জনের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। সেই বিষয়েই ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে হবু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্বল্প শিক্ষক-শিক্ষিকা যুক্ত স্কুলে বা শিক্ষকের অভাব যুক্ত স্কুলে নিয়োগ বা জয়েনিং দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে শাসকদলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তরফে। জেলা সভাপতি অর্ঘ্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “যে সমস্ত স্কুলে ১ জন বা ২ জন শিক্ষক শিক্ষিকা থাকেন, সেখানে পঠন-পাঠনের অনেক অসুবিধা হয়। তাই, মাননীয় ডিআই তথা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে এই দাবি রেখেছি।” অপরদিকে, জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানা গেছে, যে সমস্ত বিদ্যালয়ে শূন্য পদ আছে সেখানেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়োগ করা হচ্ছে।