দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ সেপ্টেম্বর: মাধ্যমিকে (২০২০) একাদশ)। উচ্চ মাধ্যমিকে (২০২২) দ্বাদশ। এবার, সর্বভারতীয় নিট (NEET- National Elegibility Cum Entrance Test) পরীক্ষাতেও সারা দেশে ২২ র‍্যাঙ্ক করে অবিভক্ত মেদিনীপুর তথা বাংলা’র মুখ উজ্জ্বল করলেন দেবাঙ্কিতা। গতকাল অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা NEET-এর ফলাফল অনুযায়ী সারা দেশে ২২-তম স্থান দখল করেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের দেবাঙ্কিতা বেরা (Debankita Bera)। বাংলায় তাঁর র‌্যাঙ্ক থার্ড (3rd) বা তৃতীয়। ৭২০-এর মধ্যে দেবাঙ্কিতার প্রাপ্ত নম্বর ৭০৫।

thebengalpost.net
Akash Institute এর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হল দেবাঙ্কিতা-কে :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলা মাধ্যম স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন দেবাঙ্কিতা। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মহিষাদল গয়েশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন তিনি। ২০২০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে একাদশ স্থান দখল করেন। এরপর, মহিষাদল রাজ হাই স্কুল থেকে চলতি বছরেই (২০২২ সালে) উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন সারা রাজ্যে দ্বাদশ স্থান অধিকার করে। শৈশব থেকেই মেধাবী এবং পড়াশোনায় মনোযোগী দেবাঙ্কিতা দশম শ্রেণির পর থেকেই NEET-এর জন্য প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন খড়্গপুরে অবস্থিত আকাশ ইনস্টিটিউট (Akash Institute) থেকে। আজ, বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সেই আকাশ ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা-ও দেওয়া হল দেবাঙ্কিতা-কে। দেবাঙ্কিতা জানিয়েছেন, বাবা-মা ছাড়াও এই সাফল্যের জন্য আকাশ ইনস্টিটিউটের অবদান অপরিসীম! প্রসঙ্গত, দেবাঙ্কিতার বাবা-মা দু’জনই শিক্ষক। বাবা গণিতের শিক্ষক এবং মা বাংলার শিক্ষিকা।

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement) :

পড়াশোনায় অত্যন্ত মনোযোগী হলেও, শুধু বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজেই দিন কাটাতেন না দেবাঙ্কিতা। গল্পের বই পড়তেও ভালোবাসেন বলে জানিয়েছেন তিনি। খোঁজ রাখেন সারা দেশে ও রাজ্যে কি হচ্ছে তা নিয়েও। আর, ছোটো থেকেই মনের মধ্যে লালন করতেন চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করার স্বপ্ন! এবার, তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। খুশি দেবাঙ্কিতা। জানিয়েছেন, “ভালো ফল হবে আশা করেছিলাম। তবে, এতোটা ভালো হবে, ভাবতে পারিনি!” দেবাঙ্কিতার এই সাফল্য গর্বিত করেছে অবিভক্ত মেদিনীপুর সহ গোটা বাংলা-কেই। একজন সুচিকিৎসক হয়ে দেশের সেবা করুন দেবাঙ্কিতা, এটাই এখন চাইছেন সকলে।

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):