মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ জুন: মেদিনীপুর থেকে আরও অনেক ‘ইন্দ্রাশিস’ তৈরি করাই লক্ষ্য! তাই, “মেদিনীপুরের গর্ব” ইন্দ্রাশিস দত্ত-কে সংবর্ধনা দেওয়ার মধ্য দিয়েই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হল, সিভিল সার্ভিস প্রশিক্ষণের প্রথম ক্লাস। বছরখানেক আগেই, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছিলেন জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল। তবে, করোনা সহ নানা কারণে, ক্লাস শুরু করা যায়নি। বুধবার সেই ক্লাসের-ও শুভ উদ্বোধন হল জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসকদের উপস্থিতিতে। একইসঙ্গে, এদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত মেদিনীপুর শহরের কৃতি সন্তান তথা সিভিল সার্ভিসের সর্বভারতীয় পরীক্ষা ইউপিএসসি (Union Public Service Commission/ ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন)-তে প্রথম একশোয় (৯৪) জায়গা করে নেওয়া ইন্দ্রাশিস দত্ত-কে দেওয়া হল বিশেষ সংবর্ধনা। ইন্দ্রাশিস-ও তাঁর অভিজ্ঞতা এবং সাফল্যের মন্ত্র উজাড় করে দিলেন IAS বা WBCS হতে চাওয়া পড়ুয়াদের সামনে। তাঁর মতে, “এই জার্নি (যাত্রাপথ) অত্যন্ত কঠিন। তবে, কঠোর পরিশ্রম এবং আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে অসম্ভব নয়।” কিভাবে, পরিশ্রম করলে সাফল্য আসতে পারে, সেই রাস্তাও বাতলে দিলেন। পরিবারের সমর্থন (সাপোর্ট), সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা- প্রভৃতি বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে নিবিড় পরিশ্রমের উপর-ই গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে এও জানিয়েছেন, “সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা মানে এই নয়, গুগল (Google) এবং ইন্টারনেট থেকে দূরে থাকা। গুগল এবং ইউ টিউব (YouTube) থেকে অনেক সাহায্য পাওয়া যায়। সেটুকু নিতে হবে। তবে, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ টুইটার, ইন্সটাগ্রামে সময় দেওয়া যাবে না। কিন্তু, প্রতিদিন অন্তত একটি বা দুটি পেপার পড়তেই হবে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের জন্য।”
উল্লেখ্য যে, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সেন্টার বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল, ৩৫ জনকে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়েছে। এদিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিবাজী প্রতিম বসু, নিবন্ধক ড. জয়ন্ত কিশোর নন্দী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল, অতিরিক্ত জেলাশাসক কুহুক ভূষণ ও কেম্পা হোন্নাইয়া প্রমুখ। ছিলেন, অন্যান্য আধিকারিক বৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিভাগের অধ্যক্ষ (ডিন) এবং অধ্যাপকবৃন্দ। জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং সর্বোপরি ইউপিএসসি (UPSC)- তে সফল (৯৪ র্যাঙ্ক করা) ইন্দ্রাশিস দত্ত ছাত্র-ছাত্রীদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করেন। উপাচার্য অধ্যাপক শিবাজী প্রতিম বসু বলেন, “জঙ্গলমহলের ছেলে-মেয়েদের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলা বা প্রশাসনিক পদে নিয়ে আসার জন্যই এই উদ্যোগ। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ক্লাস নেবেন জেলা প্রশাসনের IAS, WBCS আধিকারিকরাও। এর থেকে বড় পাওনা আর কি হতে পারে! শুধু তাই নয়, স্মার্ট ক্লাসরুম, ওয়াইফাই, স্টাডি মেটেরিয়াল, স্মার্ট লাইব্রেরী- সমস্ত কিছুই থাকছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। আপাতত, ৩৫ জন সফল ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে ক্লাস শুরু হলো। ভবিষ্যতে আবারও পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের বেছে নেওয়া হবে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ নভেম্বর: আইআইটি (IIT)-র মতো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে অভাব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…