মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ অক্টোবর: খাতায়-কলমে চালু থাকলেও, পড়ুয়ার অভাবে বিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ২০১২ সালেই! বিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষক এবং ১ জন পার্শ্ব শিক্ষক-কে অস্থায়ীভাবে (লোকাল অ্যারেঞ্জমেন্ট) পাশাপাশি স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। ৯ বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা সেই প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী শিক্ষাবর্ষের শুরু (জানুয়ারি মাস) থেকে ফের চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই। গত ২৩ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার, তিনি খড়্গপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে (শরৎপল্লী এলাকায়) অবস্থিত খড়্গপুর চক্রের অন্তর্গত সেই উত্তর ইন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। নিজে গিয়ে কথা বলেন বিদ্যালয়ের আশেপাশে বসবাসকারী অভিভাবকদের সঙ্গে। আপাতত ৬ জন পড়ুয়াও তিনি জোটাতে পেরেছেন স্থানীয়দের সহায়তায়। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বিদ্যালয়ের দরজা ফের পড়ুয়াদের জন্য তিনি খুলে দিতে পারবেন বলে আশাবাদী। চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই-এর প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় প্রাথমিক শিক্ষক তমাল গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার কৃষ্ণেন্দু’র সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অনিমেষ দে সহ অন্যান্য শিক্ষক নেতৃত্বও। সকলেই আশা প্রকাশ করেছেন, চেয়ারম্যান নিজে যখন উদ্যোগী হয়েছেন, নিশ্চয়ই আগাছায় পরিপূর্ণ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ফের একবার শিশু শিক্ষার্থীদের কলতানে মুখরিত হয়ে উঠবে!
উল্লেখ্য যে, গত ২০১০ সাল থেকে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা কমতে শুরু করে। ২০১২ সালে এসে তা ‘শূণ্যে’ (০০০) পৌঁছে যায়! ওই সাল থেকেই ঝাঁপ বন্ধ হয় বিদ্যালয়ের। তবে, খাতায়-কলমে যেহেতু বিদ্যালয় চালু ছিল, তাই ওই বিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা’কে লোকাল অ্যারেঞ্জমেন্ট বা অস্থায়ীভাবে পাঠিয়ে দেওয়া হয় পাশাপাশি স্কুলে। সেই থেকে উত্তর ইন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করুনা মুর্মু, সহ শিক্ষিকা অমৃতা খাঁড়া এবং পার্শ্বশিক্ষক তৃপ্তিনাথ আচার্য অন্য বিদ্যালয়েই নিজেদের দায়িত্ব পালন করছিলেন। কখনও ভাবেন নি, অবসরের আগে ফের তাঁরা নিজেদের বিদ্যালয়ে পাঠদান করতে পারবেন! তবে, নিজে উদ্যোগী হয়ে সেই অসম্ভবকে ‘সম্ভব’ করতে চলেছেন নবনিযুক্ত DPSC চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই। ছাত্র-ছাত্রীদের ‘দুয়ারে দুয়ারে’ গিয়ে অভিভাবকদের সাথে কথা বলেছেন। নিজেদের পাড়ার স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করার আবেদন রেখেছেন। ৬ জন অভিভাবক ইতিমধ্যে তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে। কৃষ্ণেন্দু আশাবাদী আরও ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হবেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আশ্বাস দিয়েছেন, নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার বিষয়ে তিনি সর্বোতভাবে চেষ্টা করবেন। পরামর্শ দিয়েছেন, “যত্ন নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর জন্য।” এর আগে, ২৬ বছর মামলার গেরোয় ফেঁসে থাকা জেলার ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে নজির গড়েছিলেন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই। সমস্যার সমাধান করেছিলেন ১৮ বছর ধরে চাকরির কনফার্মেশন লেটার না পাওয়া শিক্ষিকার। শুধু তাই নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সুবিধার্থে শনিবার-রবিবারও নিজের কার্যালয়ে বসে নিরন্তর কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন জেলার শিক্ষা মহলের। ৯ বছর ধরে বন্ধ হয়ে থাকা বিদ্যালয় খোলার উদ্যোগ নিয়ে ফের একবার নিজেদের কর্মতৎপরতার পরিচয় দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু।
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…